মাতৃত্ব যে কোনো নারীর কাছেই বড় আশীর্বাদ। কিন্তু গর্ভধারণের পর কোনো কারণে বা দুর্ঘটনার জেরে অকাল গর্ভপাতের (মিসক্যারেজ) ঘটনা ঘটলে তা ভুক্তভূগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দেয়। অকাল গর্ভপাতের মানসিক শোক অনেকে সারা জীবনেও কাটিয়ে উঠতে পারেন না। তাই গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায় সব নারীর জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সময়ে সামান্য অসাবধানতার ফলে ঘটে যেতে পারে গর্ভপাতের মতো দুর্ঘটনা। স্বাস্থ্যের দুর্বলতার কারণে অকাল গর্ভপাতের (মিসক্যারেজ) মতো দুর্ঘটনা বা শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি এড়াতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ খাবার থাকা অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন এমনই কয়েকটি ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদানের নাম আর নিয়মিত খান-
১. মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৩। মাশরুমে যদি কোনোরকম অ্যালার্জি না থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি ডায়েটে রাখুন মাশরুম।
২. চিনা বাদাম ভিটামিন বি-৩-এ পরিপূর্ণ। তাই প্রেগন্যান্সিতে প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর চিনা বাদাম খাওয়া উচিত।
৩. গর্ভাবস্থায় অনেকেরই আমিষ খাবারে অরুচি হয়। তখন ভিটামিন বি-৩-এর ঘাটতি মেটাতে পাতে রাখুন কড়াইশুঁটি বা মটরশুঁটি। এই খাবার বি-৩-এ পরিপূর্ণ।
৪. প্রেগন্যান্সি ডায়েটে রাখতে পারেন খাসির কলিজা। এতে রয়েছে রয়েছে আয়রন আর প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি-৩। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে আর অকাল গর্ভপাতের ঝুঁকি এড়াতে কলিজা খেতে পারেন।
৫. যে কোনো ধরনের মাছেই রয়েছে নিয়াসিন যা ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ। পুকুর বা নদীর মাছের তুলনায় সামুদ্রিক মাছে নিয়াসিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই প্রেগন্যান্সি ডায়েটে মাছ অবশ্যই রাখবেন।
৬. চিকেন অত্যন্ত সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর একটি খাবার। তাই প্রেগন্যান্সি ডায়েটে ভিটামিন বি-৩ সমৃদ্ধ চিকেন অবশ্যই রাখবেন।