রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি’য়ের তুলনা নেই। স্বাদ ছাড়াও ঘি-এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে ঘি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অনেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে একদমই ঘি খান না। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘি তখনই শরীরের ক্ষতি করবে যখন তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় । তাই ঘি-এর উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ মেনে খেতে হবে। শীতকাল ছাড়াও গরমের সময়ও ঘি খাওয়া ভালো। আর তা খেতেও পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ঘি খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতার পাওয়া যায়-
শক্তি বাড়ায় : শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর প্রোটিন শরীরে পুষ্টি জোগায় আর হরমোন তৈরি করতে ফ্যাট সহায়তা করে। তাই বিশেষজ্ঞরা গরমে ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন। গরমের সময় মসুর ডাল বা তরকারিতে এক চামচ ঘি দিয়ে খেতেই পারেন। এতে উপকার পাবেন।
ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে: ঘি-এর মাধ্যমে শরীরে ইমিউনিটি বেড়ে যায়। ঘি খাওয়ার ফলে নানা রকম সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাই সহজেই। পুষ্টিবিদদের মতে, ঘি-য়ে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
জলশূন্যতা রোধ করে: ঘি শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য শরীরকে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে ভূমিকা রাখে। পুষ্টিবিদের মতে, গরমের সময় শরীরের জলের অভাব মেটায় ঘি। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বকেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে : খালি পেটে ঘি খেলে হজমের সাহায্য করে। আয়ুর্বেদের মতে, ঘি শরীরের হজম উন্নতি এবং পুষ্টির মান শোষনের অন্যতম। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা বিউটারিক এসিড ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যে কোনও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয়। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘি খাওয়ার ফলে মন এবং শরীরে শীতলতা অনুভূত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘি প্রদাহ হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরকেও শিথিল রাখতে সাহায্য়। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। এই কারণে গরমেও ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়