বছরের পর বছর একই জুতোয় চালাচ্ছেন? কাজটা কিন্তু মোটেও বুদ্ধিমানের মতো হচ্ছে না

আপনার জুতো বহুদিন চলে বলে কি মনের কোণে প্রচ্ছন্ন একটা গর্বই আছে? দিনের পর দিন একই জুতো পরে চালিয়ে গেলে পয়সা হয়তো বাঁচে, কিন্তু পায়ের স্বাস্থ্যের উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত মনে রাখবেন, বয়স ভেদে আমাদের পায়ের আকার বদলায়। কম বয়সে ত্বক টানটান থাকে, পায়ের পাতার নিচে যে আর্চ থাকে সেটাও ক্রমশ নামতে থাকে। তাই 20 বছর বয়সে যে সাইজ়ের জুতো পরতেন, সেই একই সাইজ় 40 বছরেও না থাকাটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে ভালো হয় প্রতিবার জুতো কেনার সময় পা মেপে নিতে পারলে।

জুতো কেনার পর প্রথমবার পায়ে পরেই সামান্য অস্বস্তি হতে পারে, কিন্তু সেটা যদি বেশ কিছুদিন পরেও আপনাকে বিব্রত করে, তা হলে বুঝতে হবে যে জুতোর ডিজ়াইনটি সম্ভবত আপনার জন্য সঠিক নয়। বেশিদিন ভুল নকশা বা আকারের জুতো পরে থাকলে পায়ে ফোসকা বা ফোড়া হতে পারে, কড়া পড়লেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তাই আনকমফর্টেবল নতুন জুতোর মায়াও ত্যাগ করলেই ভালো করবেন। যদি কখনও দেখেন যে পুরোনো জুতো পরলেই পায়ে ব্যথা হচ্ছে বা পা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে তাড়াতাড়ি, তা হলেই বুঝতে হবে যে সেটি বাতিল দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। হাই হিল জুতো একটা সমান সারফেসের উপর রেখে দেখুন দু’টি পাটিই সমান্তরালভাবে আছে কিনা। কোনও জুতোর হিল ক্ষয়ে গেলে বা তা একদিকে হেলে গেলেই বাতিল করুন। এমন হলে জুতো আপনার পায়ে অনাবশ্যক চাপ দিতে থাকবে। পায়ের পাতার আর্চে বা গোড়ালিতে টানা ব্যথা হতে থাকলেও সতর্ক হতে হবে, জুতো বদলে দেখুন পরিস্থিতি পালটাচ্ছে কিনা।

রানিং শ্যু বা ট্রেনারও বদলানোর একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। যাঁরা খুব হাই এন্ড ট্রেনিং করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে মেরে-কেটে ছ’মাসের বেশি চলার কথা নয় একটা জুতোর। মাঝারি মানের ট্রেনিং যাঁরা করেন, তাঁরা বড়জোর এক বছর পরতে পারেন। যাঁরা সকালে-বিকেলে পাড়ার পার্কে কয়েক পাক হাঁটেন, তাঁরা দু’ বছরের মধ্যে জুতো বদলে ফেলুন। তবে রাস্তায় হাঁটার চেয়ে ট্রেডমিলে হাঁটলে জুতো বেশিদিন অক্ষত থাকে। সাধারণত এর মধ্যেই জুতোর সোলটা তেলা হয়ে আসে, ধরে মোচড়ালে সহজেই মুড়ে যায়। এর অর্থ পরিষ্কার, জুতোর শক অ্যাবজ়র্ব করা ক্ষমতা কমে এসেছে। গায়ের জোরে তা চালানোর চেষ্টা করলেই পায়ে চোট পাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy