‘ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে যেসব খাবার থেকে ,রইলো লিস্ট

অনেক ভালো খাবারেও বিষক্রিয়া হতে পারে। এটা নির্ভর করে খাবার কোন প্রক্রিয়ায় খাচ্ছেন তার ওপর। আমেরিকার ৬০০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হয়ে থাকেন। এ কারণেই অনেক ভালো খাবারও সঠিক উপায়ে খাওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে দেখে নিন এমনই কিছু খাবারের কথা। এগুলো কখন ক্ষতিকর হয়ে ওঠে তা জেনে নিন। ‘ফুড পয়জনিং জার্নাল’-এ এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞ এবং অ্যাটোর্নি বিল মারলার।

১. কাটা এবং ধোয়া সবজি ও ফল : যেকোনো সবজি এবং ফল ধুয়ে এবং কেটে খেতে হয়। কিন্তু আগে থেকে কাটা ও ধোয়া প্রক্রিয়াজাত সবজি-ফল ঠিক যেন প্লেগের মতোই ভয়াবহ হতে পারে। এত বেশি মানুষ এসব খাবারে হাত লাগান যে তা মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এসব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।

২. সদ্য অঙ্কুরিত সবজি : অদ্ভুত হলেও সত্য, সদ্য অঙ্কুরিত সবজি সালমোনেলিয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ই কোলি ভাইরাসের স্বর্গরাজ্য। এ ধরনের খাবার যারা খান তারা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন। এর আগেও আমেরিকায় বহু সময় খাদ্যে বিষক্রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় কেবলমাত্র সদ্য অঙ্কুরিত সবজি খেয়ে।

৩. কম তাপে রান্নাকৃত মাংস : শেফরা নানা পদ্ধতিতে নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে থাকেন। বিশেষ করে কম তাপমাত্রায় যত সুস্বাদু মাংসই রান্না হোক না কেন, তাতে সালমোনেলা এবং ই কোলি থেকেই যাবে। তাই মাংস অন্তত ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। নয়তো বিষক্রিয়া নিশ্চিত।

৪. কাঁচা ডিম : অনেকেই কাঁচা ডিমকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন। ১৯৮০-এর দশকে আমেরিকায় কাঁচা ডিম দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এ কারণেই সে সময় সামলোনেলা রীতিমতো মহামারী আকারে দেখা দেয়। ডিম রান্না না করা পর্যন্ত তা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত হয় না। তাই ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই তা চুলোয় দিতে হবে। আপনি যে রেসিপিতেই যান না কেন, কাঁচা খাওয়া যাবে না।

৫. অপাস্তুরিত দুধ ও ফলের রস : বলা হয়ে থাকে, পাস্তুরাইজেশন দুধ ও ফলের রসের পুষ্টিগুণ হ্রাস করে। মারলারের মতে, পাস্তুরাইজেশন মোটেই ক্ষতিকর নয়। বরং ক্ষতিকর পাস্তুরায়ন না করা। কাঁচা দুধ ও ফলের রসে যথেষ্ট পরিমাণ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াসহ নানা জীবাণু থাকে। পাস্তুরিত হলেই এগুলো দূর হয়। তাই কাঁচা দুধ বা ফলের জুস খেলে বিষক্রিয়া ঘটার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy