কলা খেয়ে এর খোসা ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন। খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে লাগাতে পারেন। এই খোসার রয়েছে অনেক উপকারিতা-
হজমে সহায়ক: এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার রয়েছে। নিয়মিত কলার খোসা খেলে হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতিতে সহায়তা করবে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়াতে বেশি উপকারী। পেটের বিরক্তিকর সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত কলার খোসা খাওয়া উচিত।
দাঁতের উজ্জ্বলতায়: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন কলার খোসা দিয়ে এক মিনিট দাঁত ঘষুন। এক সপ্তাহ পর দেখবেন দাঁত উজ্জ্বল হয়েছে। এটি পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। আপনি যখন খোসা দিয়ে দাঁত ঘষেন; এর এনামেল খনিজ উপাদান শোষণ করে নেয় এবং আরো সাদা করে।
ব্রণ তাড়াতে: ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণ আক্রান্ত স্থানে কলার খোসা দিয়ে নিয়মিত ঘষুন; এক সপ্তাহের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। কলার খোসা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফিনোলিকস যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসে গঠিত; এটি ব্রণের তাড়াতে কাজ করে।
ত্বকের বলিরেখা কমায়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ‘সি’ এ ভরপুর কলার খোসা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে এবং বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে।
শরীরের ব্যথা উপশম করে: এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলার খোসায় ক্যারোটিনয়েড এবং পলিফ্যানলের মতো বায়োএকটিভ উপাদানে ভরপুর। এছাড়াও এতে প্রদাহপ্রতিরোধী উপাদানে ভরপুর যা শরীরে ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষায়: কলার খোসায় ফিনোলিকস, ফ্লেভনয়েড, ন্যানিন, ক্যারোটেনয়েড এবং অ্যালকালোয়েডের মতো উচ্চমাত্রায় বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে। এগুলো ত্বককে ফ্রি রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে সুরক্ষা করে।