থাইরয়েড মানবদেহের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। গলার কাছে থাকে প্রজাপতি আকৃতির এক গ্রন্থি। যাকে বলা হয় থাইরয়েড গ্রন্থি। এর থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিংসৃত হয়।
থাইরয়েডে কোনো ধরনের সমস্যা হলে হরমোন নিঃসরণেও ভারসাম্য বজায় থাকে না। ফলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা বুঝে ওঠার আগেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তবে চোখের দিকে খেয়াল রাখলেই বুঝতে পারবেন, আপনি থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন কি-না! বিশেষজ্ঞদের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চোখের উপরেও তার প্রভাব পড়তে পারে সরাসরি।
এটি এক ধরনের অটো ইমউন ডিজিজ। অর্থাৎ এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সব সময় দেহের সব অংশের প্রতি এক ধরনের আচরণ করে না।
ফলে দেখা যায়, দেহেরই কোনো অংশে ইমিউন সিস্টেম বিরূপ প্রভাব ফেলছে। একইভাবে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে দেখা যায় সমস্যাটি চোখ ও তার আশপাশের পেশিতে পড়ে।
এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চোখের আশপাশের সব পেশিকে চিনতে ভুল করতে পারে। ফলে সেসব পেশির হয়ে লড়াই করার বদলে তার ক্ষতি করে ফেলে। এর ফলে চোখ ও তার পার্শ্ববর্তী নমনীয় পেশিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
প্রদাহের কারণে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন, চোখের অক্ষিগোলক ঠিকরে বেরিয়ে আসবে।
এ ছাড়াও থাইরয়েডের কারণে রক্তবর্ণ চোখ, চোখে ব্যথা, অতিরিক্ত জল পড়া অথবা একেবারে শুষ্ক হয়ে যাওয়াসহ সব কিছু ডাবল দেখার মতো উপসর্গ প্রকাশ পায়। এমনকি দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।
তাই চোখের এসব লক্ষণ কখনো হেলাফেলা করবেন না। একবার থাইরয়েড পরীক্ষা করিয়ে নিন। সমস্যা ধরা পড়লে অবশ্যই নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন এমন কোনো রোগী যদি অনুভব করেন যে চোখ ফুলে উঠছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।