কখনো কখনো স্নান করতে দেরি হয়ে গেলে অনেকেই খাবার খেয়ে স্নান করতে যান। তবে গুরুজনরা এমনটা করতে নিষেধ করেন আবার কখনো কখনো বকাবকিও শুরু করে দেন। অনেকে আবার রাত্রে খাওয়ার পর স্নান করেন এতে নাকি ঘুম ভালো হয়। কিন্তু এই নিয়ে অনেকেই আপত্তি রয়েছে, তাদের মতে কখনোই খাওয়ার পর স্নান করা উচিত নয়। কিন্তু কেন, এর পিছনে কি কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে?
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করলে শরীরে এক বিশেষ প্রক্রিয়া শুরু হয় একে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন ‘হাইপারথার্মিক অ্যাকশন’। এই সময় শরীরে কিছুটা তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যদিও এটা শরীরের পক্ষে কিছুটা স্বাস্থ্যকর। ‘হাইপারথার্মিক অ্যাকশন’ প্রক্রিয়া শুরু হলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কাজ করা শুরু করে দেয়, স্নায়ুগুলি রিলাক্স হতে সাহায্য করে এবং শরীরের সমস্ত ঘামের গ্রন্থীগুলি থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।
অন্যদিকে খাবারের পর শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা আগের তুলনায় একটু বেড়ে যায়। পেটভরে খাওয়ার পর যে আরাম অনুভূতি হয় তা এরই প্রক্রিয়া। শরীরে হজম প্রক্রিয়া শুরু হলে রক্ত চলাচল ভালো হয়। কিন্তু এই সময় যদি স্নান করা হয় তাহলে শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাবে। এই সময় কখনও কখনও হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায় আবার পেট ভরে খেয়েও সুখকর হয় না।
খাবার পর স্নান করলে শরীর বেগতিক হয়ে যেতে পারে। আসলে স্নানের পর শরীরের তাপমাত্রা এমনিই বেড়ে যায়। তাই হজম প্রক্রিয়ায় বাড়তি রক্ত সরবরাহ হলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এর ফলে গ্যাস অম্বল এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কোনদিন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাহলে অন্তত খাবার খাওয়ার কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করা উচিত। তবে যদি যুক্তি দিয়ে বিচার করা হয়, স্যালাড বা ফল খাওয়ার পর স্নান করলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।