আমাদের শরীরে কোথাও না কোথাও টুকটাক ব্যথা হয়, কখনো কম বা বেশি কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়ই সেগুলোকে তেমন গুরুত্ব দিই না। কিন্তু এই ব্যথায় পরবর্তীকালে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। তাই এই ধরনের ব্যথা কে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। এবার কোন কোন ধরনের ব্যথাকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
☞ রইল তেমনি কয়েকটি ব্যাথা সম্পর্কে:-
১) পিঠের মাঝামাঝি জায়গায় ব্যথা হলে ও এর পাশাপাশি জ্বর বা ক্লান্তি হলে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এটি হতে পারে কিডনির সমস্যার বড়োসড়ো একটি লক্ষণ। কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেকশন হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে।
২) তলপেটের একেবারে ডানদিকে যদি একদিনের বেশি স্থায়ী হয় বা ব্যথার স্থান যদি ঘন ঘন তল পেটের নানা অংশে ঘোরাফেরা করতে থাকে তাহলে এটা এপেন্ডিসাইটের লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থায় কখনোই অবহেলা করা উচিত নয় দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তারাই বলতে পারবেন এই ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা কতটা জরুরি বা কখন করা উচিত।
৩) মেয়েদের পিরিয়ড চলাকালীন যদি পেটে অস্বাভাবিক ব্যাথা হতে থাকে আর সেই ব্যাথা যদি সহজ না কমে তাহলে এই বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ নানা ধরনের গাইনির সমস্যার কারণে এই ধরনের তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
৪) কখনো কখনো আপনার দাঁত ব্যথার মাত্রা যদি এতটাই বেড়ে যায়, এমনকি মাঝরাতে গভীর ঘুমে দাঁত ভেঙে পড়ে এই ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ দাঁতের ছিদ্রের মাধ্যমে মাড়ি পর্যন্ত ইনফেকশন যাওয়ার কারণেই এই ধরনের ব্যথা হতে পারে।
৫) হঠাৎ করে যদি অস্বাভাবিক মাথা যন্ত্রণা শুরু হয় বা দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হতে শুরু করে। তাহলে বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করবেন না। এই ধরনের অস্বাভাবিক মাথাব্যথার ক্ষেত্রে দেখা গেছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কোনও আঘাত বা টিউমার ইত্যাদি। তাই এমন পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।