আপনি কি কনস্টিপেশনে ভুগছেন? জেনেনিন এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কি করবেন

পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা তাও শুরু হয়েছে ইদানীং, কিন্তু যে সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা এখনও প্রায় নিষিদ্ধ, সেই তালিকার একেবারে উপরের দিকেই থাকবে কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য। আধুনিক জীবনযাত্রার সৌজন্যে বহু মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা এই সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন। কিন্তু প্রকাশ্যে আলোচনা করা যায় না বলে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতেও অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। মনে রাখবেন, আপনার ত্বক ও চুলের সমস্যার জন্যও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দায়ী। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যা থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজে বের করুন। সুবিধেটা হচ্ছে যে, দৈনিক জীবনে খুব সাধারণ কিছু পরিবর্তন আনলেই আপনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন আবার, নিয়মিত ল্যাক্সাটিভেরও প্রয়োজন পড়বে না।

খাবারে যেন প্রচুর ফাইবার থাকে: ফাইবার আপনার কোষ্ঠ বা মলকে নরম রাখে, ফলে তা স্বাভাবিক গতিতে পায়ুর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। ফল, শাবসবজি, যে কোনও হোল গ্রেন (ভুষিসুদ্ধ আটা, ওটস ইত্যাদি), বাদাম, সিডসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। একসঙ্গে অনেকটা খাওয়ার প্রয়োজন নেই, তবে সারাদিনের খাদ্যতালিকায় অল্প অল্প করে ফাইবারের জোগান অব্যাহত রাখুন।

যথেষ্ট পরিমাণ জল পান করুন: যদি আপনার শরীরে জলের জোগানে ঘাটতি থাকে, তা হলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খেলে জলের পরিমাণ বাড়াতেই হবে, কারণ ফাইবার জল শোষণ করেই কার্যকর হয়ে ওঠে। পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দৈনিক 5 লিটার জল খাওয়াটা জরুরি।

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খাদ্যতালিকার বাইরে রাখবেন না: বাদাম, নানা ধরনের সিডস, অ্যাভোকাডো, ঘি, ডিম ইত্যাদি যেন রোজের খাদ্যতালিকায় থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

প্রোবায়োটিক খাওয়া জরুরি: দোকান থেকে একগাদা দাম দিয়ে বোতলবন্দি প্রোবায়োটিক কেনার দরকার নেই, বাড়িতেই নানা ফারমেন্টেড খাবার খাওয়ার অভ্যেস করুন। দোসা ব্যাটার বা পান্তা ভাত প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ এবং তা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ম্যাগনেশিয়ামের জোগান অব্যাহত রাখুন: রোজ যাঁরা বাদাম, সবুজ পাতাজাতীয় শাকসবজি, আনাজপাতি খান, তাঁদের ম্যাগনেশিয়ামের অভাব সাধারণত হয় না। একান্ত প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কোনও ম্যাগনেশিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।

পরিবর্তন আনুন জীবনযাত্রায়: শুনতে একঘেয়ে লাগবে হয়তো, কিন্তু এ কথা ঠিক যে সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, খানিকটা ব্যায়াম করা, বাড়ির খাবার খাওয়া, সময়ে বাথরুম যাওয়ার মতো ডিসিপ্লিন মেনে চললে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে আসে। বিশ্বাস হচ্ছে না? মাসখানেকের জন্য ট্রাই করে দেখুন, ফারাকটা নিজেই বুঝতে পারবেন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy