যৌন জীবনে সর্বাধিক তৃপ্তি পেতে দু’দিন অন্তর মিলনের পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিলনের তৃপ্তি আর উত্তেজনা বজায় থাকে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা।
এর মধ্যে ফের শারীরিক সম্পর্ক দাম্পত্যে অতিরিক্ত মাধুর্য আনতে পারে না। বরং প্রথম সম্পর্কের রেশ ফুরোতে শরীর ও মন নতুন করে মিলনাতুর হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে গবেষণার জন্য ২১৪ জন নবদম্পতিকে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির শরীরবিদ্যা বিভাগের গবেষক অ্যান্ড্রিয়া মল্টজার। ২১৪ জন দম্পতির দু’সপ্তাহের যৌন জীবনের দিনলিপি নথিভুক্ত করতে বলেন অ্যান্ড্রিয়া।
নবদম্পতিদের নিয়ে করা সমীক্ষার রিপোর্ট তার গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ডায়েরিতে দম্পতিরা লিখে রেখেছেন, কোন কোন দিন তারা মিলিত হয়েছেন, তৃপ্ত কি না, কতটা তৃপ্ত হয়েছেন, এই সম্পর্ক তাদের দাম্পত্যকে কতটা দৃঢ় করেছে, এমনই ব্যক্তিগত নানা তথ্য। যার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, ১৪ দিনে মাত্র চারবার যৌন মিলনে সর্বোচ্চ তৃপ্তি মিলেছে বলে দাবি অধিকাংশ নবদম্পতির।
শুধু একবারই নয়, সমীক্ষা করা হয়েছে মাস ছয়েক পরও। ছ’মাস পরে ফের তাদের বেড রুমের খবরাখবরে কান পেতেছেন গবেষকরা। তাতেই ৪৮ ঘণ্টা অন্তর যৌন মিলনে সর্বাধিক তৃপ্তি মেলে বলে সহমত সকলে।
সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, এই তৃপ্তি স্থায়ী হয় সবচেয়ে বেশি সময়। এই গবেষণায় গুরুত্ব পেয়েছে বয়স, লিঙ্গ, দৈর্ঘ্য, ব্যক্তিত্ব, সম্পর্ক কতদিনের, এই বিষয়গুলি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দু’দিন অন্তর মিলনের মাধুর্য সর্বাধিক হলেও সম্পর্ক পুরনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই তৃপ্তিতে কিছুটা হলেও ভাঁটার টান আসে। দু’দিন অন্তর যৌনমিলনের পক্ষে রায় দিতে গিয়ে গবেষকরা লাভ হরমোন অক্সিটোসিনের ভূমিকাও উল্লেখ করেছেন।
তাদের মতে, মিলনের তৃপ্তিতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে অক্সিটোসিন। যৌন মিলনের সময় মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস থেকে ক্ষরণ হয় এই হরমোন। যা পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সকলের শরীরকেই মিলনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। ফলে মিলনের তৃপ্তি কানায় কানায় উপভোগ করতে পারেন যুগল। যদিও এই হরমোনের কার্যক্ষমতা কতক্ষণ স্থায়ী হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি গবেষকরা।
তবে কারণ যাই হোক, দু’দিনের ব্যবধানে নিয়মিত যৌন মিলন যে দাম্পত্যকে চির সতেজ রাখতে সাহায্য করে, সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত অ্যান্ড্রিয়া মল্টজার।