কান শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তাই অযথা কখনো কানে নখ কিংবা সরু কোনো কিছু দিয়ে খোঁচাবেন না। সুযোগ পেলেই দিয়াশলাইয়ের কাঠি, কটন বাডস ইত্যাদি কানে ঢুকিয়ে পরিষ্কারের চেষ্টা করেন অনেকেই। যা একেবারেই কান পরিষ্কারের ভুল উপায়। এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, যা মুহূর্তেই ডেকে আনতে পারে বিপদ।
কান পরিষ্কারের বিভিন্ন উপায় মানেন একেকজন। এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা বারবার এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করছেন, যেন কান পরিষ্কার করতে গিয়ে অন্তত ৪টি ভুল যেন কেউ না করেন-
কটন বাডসের ব্যবহার
কটন বাডস দিয়ে কান পরিষ্কারের বিষয়টিকে সবাই সঠিক বলে মনে করেন। তবে এ ধারণা ভুল। জানলে অবাক হবেন, এই কটন বাডস দিয়ে কান পরিষ্কার করা একেবারেই উচিত নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, কটন বাডস কান পরিষ্কারের জন্য তৈরিই হয়নি। বরং এটি কানে প্রবেশ করালে ময়লা আরও ভিতরে ঢুকে যায়। আর তখনই ঘটে ইয়ার ইনফেকশন। এমনকি কানের পর্দাতেও লাগতে পরে আঘাত। তখন শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন। তাই কানের ভেতরে নয় বরং বাইরের অংশের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এটি।
দিয়াশলাইয়ের কাঠি
ইয়ার বাডসের মতোই কানে দেশলাই বা ওই জাতীয় কোনো সরু উপকরণ প্রবেশ করালে বিপদ হতে পারে। এক্ষেত্রেও কানের ময়লা আরও ভেতরে ঢুকে যেতে পারে।
প্রতিদিন কান পরিষ্কার
প্রতিদিন কান পরিষ্কার করা কারো কারো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে! দৈনিক কান পরিষ্কার করার কোনো দরকারই নেই। শুধু গোসলের সময় ভেজা কাপড় দিয়ে কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করলেই হবে।
যেখানে সেখানে কান পরিষ্কার করানো
অনেকেই অপেশাদার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কান পরিষ্কার করান। এমনটি করানো মোটেও ঠিক নয়, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কারণ এই মানুষগুলো পেশাদার নন। সামান্য অসতর্ক অবস্থায় কানের কোথায় আঘাত লাগলেই আপনি গুরুতর সমস্যায় পড়বেন। তাই যেখানে সেখানে কান পরিষ্কার করাবেন না।
কীভাবে কান পরিষ্কার করবেন?
সত্যিকার অর্থে, কান পরিষ্কারের তেমন কোনো প্রয়োজনই নেই। কানের ভেতরের ময়লা বা ওয়াক্স নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে সময় হলে। তাই কানে কিছু প্রবেশ করিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। বরং কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। সেখানে জমে থাকে ওয়াক্স। আর একান্তই কানে ময়লা জমেছে বলে মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।