ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেদ ভুঁড়িও বাড়তে থাকলে যেন দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সেটা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক উভয়েরই একটা টেনশনের কারন। এ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই মনে করেন জিমে যাওয়া আবশ্যক। দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটের মেদ ঝরানো বেশ কঠিন। তাই বলে মেদ কমাতে নিয়মিত জিমে যেতে হবে এমনটি বাধ্যতামূলক নয়। বরং কিছু নিয়ম মেনে চললে কমতে পারে মেদ ভুরি।
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন করুন
একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার গ্রহণ করুন। কারণ, জীবন থেকে ক্যালোরির পরিমাণ কমাতে না পারলে ওজন কমানো সম্ভব নয়। বিশেষত ভুঁড়ি কমাতে পারবেন না। সারা দিনে খাবারকে ৫-৬ বারে গ্রহণ করুন। চেষ্টা করুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার। পাশাপাশি বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন।
গ্রিন টি ও বাদাম
সন্ধ্যায় গ্রিন টির সঙ্গে খেতে পারেন কিছু বাদাম। গ্রিন টি হলো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ, যা বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। আর বাদামে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন, ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে। এগুলো একসঙ্গে খেলে মেদ কয়েক দিনেই কমে যাবে।
মুগ ডাল ও পালং শাক
মেদ ঝরাতে যেকোনো ডাল খুবই উপকারী। তবে এক্ষেত্রে মুগ ডাল বেশি কার্যকরী। এই ডালে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিনের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। এই ডালের সঙ্গে যদি খান মিনারেলসে ভরপুরে পালংশাক, তা হলে পেটের মেদ ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ভুঁড়ি কমাতে চাইলে মুগ ডালের সঙ্গে পালংয়ের জুটিতে ভরসা রাখতে পারেন।
অতিরিক্ত চিন্তা বাদ দেন
অতিরিক্ত চিন্তা ও কম উদ্যোগের ফলেও কোমরের চারপাশে বা পেটে মেদ জমতে পারে। তাই ভুঁড়ি কমাতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।
দীর্ঘক্ষণ বসে ও শুয়ে থাকবেন না
অনেকেই খাবার খাওয়ার পর বসে থাকেন বা শুয়ে পড়েন। তাদের খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সে জন্য খাবার খাওয়ার পর একটানা শুয়ে-বসে না থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত। এছাড়া যাদের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাদের পেটে সহজে মেদ জমে যায়। ভুঁড়ি গোল হতে শুরু করে। তাই তাদের উচিত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা।
তেল থেকে দূরে থাকুন
বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করার পাশাপাশি বাড়ির খাবার নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। খাবারে যতটা কম সম্ভব তেল ব্যবহার করুন। ঘি, মাখন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এতে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমাতে পারবেন। পাশাপাশি ভুঁড়িও কমবে দ্রুত।