‘গোস্টিং’ কেবল বন্ধুত্ব নয়, যেকোনো সম্পর্কেই ঘটতে পারে এমনটা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেসের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রামানি দুরভাসুলা বলেন, ‘নীরবে, ভূতের মতো করে কারও কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়ার নামই গোস্টিং। যিনি গোস্টিং করেন, তিনি কেন এমনটা করছেন, এর কোনো পূর্বাভাস দেন না, নিজের আচরণের কোনো ব্যাখ্যাও দেন না।’
আর যিনি গোস্টিং করেন, তার কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু তিনি যাকে গোস্টিং করছেন কিংবা যে ‘গোস্টেড’ হচ্ছে, তার জীবনটা ওলট-পালট হয়ে যায়। মানসিক শান্তি নষ্ট হয় সেই মানুষটার। যেহেতু আপনি জানেনই না যে, সেই মানুষটা আপনার সঙ্গে হঠাৎ করে কেন এমন আচরণ করছেন, তাই আপনিও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন না। আপনাকে কেউ যদি গোস্টিং করে, সেটাও যেমন খারাপ, আবার আপনিও যদি কাউকে গোস্টিং করেন, সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। কিন্তু আপনি ‘গোস্টেড’ হলে সেই অবস্থা থেকে নিজেকে বের করবেন কীভাবে?
সরাসরি কথা বলুন
যখন বুঝতে পারছেন যে সামনের মানুষটা আপনাকে এড়িয়ে চলছে, কথা বলছে না, তখন চেষ্টা করুন একবার তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার। তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন যে, কেন সে এমনটা করছে। এতে আপনার কাছে আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকবে। পাশাপাশি ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটাও দূর হয়ে যাবে।
পরিস্থিতি মেনে নিন
যা কিছু ঘটেছে, তা আপনি বদলে ফেলতে পারবেন না। এমনকী মানুষটার চিন্তাভাবনা, সিদ্ধান্ত কোনোটাই আপনার হাতে নেই। তাই যা হয়েছে, তা মেনে নেয়াই সবচেয়ে সহজ উপায়। গোস্টিং করছে, এটা যদি মেনে নিয়ে জীবনে এগিয়ে চলেন, এটাই আপনার জন্য ভালো হবে। সহজ ভাষায় ‘মুভ অন’ করুন।
দোষ দেবেন না
আপনার ভুলের জন্য সে যদি আপনাকে গোস্টিং করে, তাহলে কথা বলে ভুল বোঝাবুঝি দূর করুন। কিন্তু কথা বলার পরও যদি দেখেন পরিস্থিতির কোনও বদল হচ্ছে না, তখন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। কিন্তু গোস্টিং-এর জন্য আপনিই দায়ী এমনটা ভুলেও ভাববেন না। সম্পর্কে জটিলতার জন্য আপনি একা দায়ী নয়। সুতরাং, নিজেকে দোষ দেবেন না। এটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো।