স্বপ্নদোষ হলো একজন নারী-পুরুষের ঘুমের মধ্যে বীর্যপাতের অভিজ্ঞতা। এটাকে ‘ভেজাস্বপ্ন’ও বলা হয়। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ।তবে বয়ঃসন্ধিকালের পরে যেকোনো সময় স্বপ্নদোষ হতে পারে। এটার সঙ্গে যৌন উত্তেজক স্বপ্নের সম্পর্ক থাকতে পারে, আবার নাও পারে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ হাজার ৬২৮ জন নারীর মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী তাদের ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে কমপক্ষে একবার স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। কিন্তু তার রকমফের হয়ত একটু ভিন্নতর।
ঘুম থেকে জাগার সময় কিংবা সাধারণ ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্নদোষ হয়, তাকে কখনও কখনও ‘সেক্স ড্রিম’ বলে। মহিলাদের ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভের অভিজ্ঞতা ঘটতে পারে। পুরুষদের বেলায় স্বপ্নদোষ হয়েছে কি-না তা কাপড়ে লেগে থাকা প্রমাণ থেকে সহজেই অনুমান করা সম্ভব হলেও নারীদের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিল। কারণ স্বপ্নদোষের ফলে নারীর গোপনাঙ্গ থেকে নির্গত বীর্য কাপড়ে লাগার আগেই গঠনগত কারণে শুকিয়ে যায়।
এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ১৩ বছর বয়সে পড়লে এ অভিজ্ঞতা লাভ করেন অনেকে। সাধারণত যেসব মেয়েরা ঘুমের মধ্যে চরম পুলক লাভ করে তাদের এই অভিজ্ঞা বেশি হয়।
বিশ্বখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে গবেষনায় দেখেছেন, ‘ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘনঘন যৌন উত্তেজক স্বপ্নের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে। সাধারণভাবে যেসব নারী-পুরুষের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, তারা কম হস্তমৈথুন করেন। এদের অনেকে গর্বিত হন এই ভেবে যে, তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, এ কারণে তারা হস্তমৈথুন করেন না। অথচ এদের বেলায় উল্টোটা সত্যি।