চোখ ওঠা রোগের কারণ ও উপায়গুলো ,দেখেনিন একনজরে

অন্য বছরের তুলনায় এবার দেশে ‘চোখ ওঠা’ রোগ বেড়েছে। দেশের নানা প্রান্তে চোখের এ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন রোগীরা। এমনও দেখা গেছে, কোনো কোনো পরিবারের সব সদস্যই আক্রান্ত হয়েছেন।

চোখের এই রোগ মূলত ভাইরাসজনিত একটি সমস্যা। রোগটি হলে কারো কারো কোনো চিকিৎসা ছাড়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। সাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়। আবার কারো চিকিৎসা লাগে।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দুই চোখ অথবা এক চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে সাদা সাদা ময়লা আসে, চোখ থেকে জল ঝরে, চোখ জ্বালাপোড়া করে।

চোখ ওঠা একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগ নিয়ে অনেকের মনে এমন একটি ধারণা রয়েছে যে, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তিরও চোখ ওঠে।

আসলেই কী তাই? এর উত্তর দিয়েছে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজি। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, জীবাণু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। অর্থাৎ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার চোখ স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে কোনো একটি জিনিস স্পর্শ করলে এবং পরবর্তীতে সে জিনিসটি যদি অন্য কেউ স্পর্শ করে ও নিজের চোখে হাত দেয়, তাহলে সুস্থ ব্যক্তিটিও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

চোখ ওঠা মারাত্মক ছোঁয়াচে একটি রোগ। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অপথ্যালমোলজির তথ্য বলছে, এই রোগের ভাইরাস হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে তারা আক্রান্ত হতে পারে। চোখ ওঠা ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখ ওঠে বলে প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে, তা পুরোপরি ভ্রান্ত একটি ধারণা।

হেলথ লাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোগে চোখ দিয়ে জল পড়ে ও চোখে অস্বস্তি বোধ হয়। চোখ স্পর্শ বা মোছার পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনো কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনোমতেই চোখ রগড়ানো যাবে না। এই রোগের সময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা পরে নিলে রোগী আরাম বোধ করবেন। বেশি অস্বস্তিবোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy