ওজন কমিয়ে ফিট থাকতে কে না চায়। শরীরের সব অংশের মেদ কমে গেলেও অনেকেই পেটের মেদ ঝরানো নিয়ে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের পর পেটের মেদ কমানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে পেটের মেদ ঝরানো অসাধ্য কিছু না। জীবনযাত্রায় কয়েকটি বিষয় মেনে চললে পেটের মেদ সহজে কমানো সম্ভব।
বেশি করে জল খাওয়া
ওজন কমানো এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার ভালো উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে জল পান করা। সেই সঙ্গে ডিটক্স ওয়াটার, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, ব্ল্যাক কফি, ফলের জুস ইত্যাদি বেশি করে পান করতে হবে। এই ধরনের পানীয় আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখবে এবং আপনার চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চিনিজাতীয় খাবার ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
চিনিজাতীয় খাবার বাদ দেওয়া
চিনিযুক্ত খাবার অক্সিটোসিনে পরিপূর্ণ। এক মুঠো চিনিসমৃদ্ধ খাবার স্ন্যাকসের চেয়ে সুস্বাদু আর কিছু নেই, তবে এই খাবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। চিনি অনেক বেশি সময় ধরে শরীরে থাকে এবং নির্গত করা কঠিন। ডোনাট, কেক, চকোলেট, কুকিজ ইত্যাদি খাবারে অসম্পৃক্ত চর্বি থাকে, যা পেটের মেদ বাড়ায়। আর এসব চিনি শরীরে জমে টক্সিনে রূপ নেয়।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রোটিন আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা অনুভব করতে সাহায্য করে, কারণ প্রোটিন হজম হতে সময় নেয়। এ ছাড়া প্রোটিন আপনার শরীরে শক্তি জোগায়। প্রোটিনের জন্য আপনার ডায়েটে যোগ করার উপযুক্ত খাবার হলো ডাল, ওটস, সবুজ শাকসবজি, ডিম এবং বাদাম।
লবণের পরিমাণ কমানো
লবণে সোডিয়াম রয়েছে, যা শরীরে ফোলা ভাব কমায়, যা মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়। লো মেটাবলিজমের ফলে একজনের পক্ষে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়েটিশিয়ানরা সবাইকে রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কারণ রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেটাবলিজম ধীরগতিসম্পন্ন হয়ে যায়। এ জন্য বেশি রাতে ডিনার করলে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়।
শস্যদানা খাওয়া
পুষ্টিকর শস্যদানা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। রুটি, আটা, বিস্কুট এবং অন্যান্য খাবার যাতে পরিশোধিত শস্য থাকে, সেগুলো ওজন কমানোর জন্য কম সহায়ক, তবে পুরো শস্যদানা খাওয়া ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত সহায়ক।bs