কোনো বিবাহিত পুরুষ যে প্রেমে পড়তে পারেন না, এমনটা নয়। বরং এমনটা অহরহই দেখতে পাওয়া যায়। যখন কোনো বিবাহিত পুরুষ কোনো নারীর প্রেমে পড়েন এবং সেই নারী সেটি বুঝতে পারেন, তার উচিত হবে সেই সুযোগ না দেওয়া। কারণ একজন মানুষ যখন বৈবাহিক সম্পর্কে থাকেন, তখন তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও অনেক মানুষ, দুটি পরিবার।
মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় নিজের পরিপক্কতা। তাই কোনো বিবাহিত পুরুষের যদি অন্য কোনো নারীকে ভালোলাগে, সেই ভালোলাগায়ও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। শুধু নিজের ভালোলাগাকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে সংসারে অশান্তি ডেকে আনবেন না। কোনটা প্রেম, কোনটা নিছকই বন্ধুত্ব তা অনেক সময় বোঝা সম্ভব হয় না। তবে মেয়েরা সাধারণত সতর্কই থাকেন বা অনেককিছু না বললেও বুঝতে পারেন। তাই খেয়াল করুন আপনার পরিচিত কোনো বিবাহিত পুরুষ এমন কোনো আচরণ করছে কি না। যদি করে থাকেন, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং সরে আসুন-
প্রায়ই আপনার প্রশংসা করেন
খেয়াল করে দেখুন কোনো বিবাহিত পুরুষ আপনার কাজ, সাজগোজ, বিভিন্ন গুণের প্রশংসা করছেন কি না। হঠাৎ প্রশংসা করা স্বাভাবিক কিন্তু তিনি যদি সুযোগ পেলেই প্রশংসা করতে থাকেন তবে সতর্ক হোন। তার প্রশংসা শুনে গলে যাবেন না। যিনি নিজের স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে অন্য নারীতে আসক্ত হতে পারেন তিনি আপনার সঙ্গেও এমনটাই করবেন হয়তো। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনার সামান্য প্রশ্রয়ও হতে পারে একটি ঘর ভাঙার কারণ। তাই এ ধরনের পুরুষকে কোনো প্রকার পাত্তা দেবেন না।
বিবাহিত জীবনের দুঃখ শোনাতে চান
অনেক বিবাহিত পুরুষকেই বলতে শুনবেন, তারা বিয়ে করে সুখে নেই। নিজের বিবাহিত জীবনে কতটা কষ্টে আছে সেকথা অবিবাহিত কোনো মেয়েকে শুনিয়ে সহানুভূতি পেতে চান। তিনি কতটা অসুখী, তার স্ত্রী কতটা রুক্ষ ও কঠিন, জীবনে রোমান্টিকতা নেই এসব বলে তারা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। এসব ক্ষেত্রে সহানুভূতি দেখাতে গিয়ে ফাঁদে পড়ে যান অনেক মেয়ে।
তিনি আপনার পাশে থাকার ভান করেন
তিনি আপনাকে সব সময় বোঝাতে চেষ্টা করেন যেকোনো প্রয়োজনে তিনি আপনার পাশে আছেন। যেকোনো সময় একটা কল করলেই তিনি ছুটে আসবেন! আপনাকে সাহায্য করার সব ধরনের চেষ্টা তিনি করতে চাইবেন। কিন্তু নিজের স্ত্রীর ক্ষেত্রে ঘটে তার উল্টোটা। অর্থাৎ যে ভালোবাসা তার স্ত্রীকে দেখানোর কথা তা দেখানোর চেষ্টা করে আপনার ক্ষেত্রে। আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে ভেবে আনন্দিত হবেন না, মূলত তিনি একজন প্রতারক।
আপনার সঙ্গে সারাক্ষণ অ্যাটাচ থাকতে চান
আপনাকে সারাদিনে যতবার ফোন, মেসেজ ইত্যাদি করবেন ততটা স্ত্রীকেও করেন না। শুভ সকাল থেকে শুরু করে কী খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন সব খোঁজ তারা জানা থাকা চাই! হয়তো আপনার রান্না করার সময় নেই, একথা জানতে পেরে আপনাকে খাবার অর্ডার করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন! এ ধরনের উপহার কখনো গ্রহণ করবেন না। আপনার জন্য তার এসব টান বা আকর্ষণ মোটেও স্বাভাবিক নয়। অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখুন, সেটি যার সঙ্গেই ঘটুক না কেন।
দুজনের মধ্যে কমন বিষয় খুঁজে বের করেন
আপনি কী খেতে পছন্দ করেন, কেমন গান আপনার ভালোলাগে, আপনার জীবনের স্বপ্ন ও লক্ষ্য কী সব আগে জেনে নিচ্ছেন। এরপর তিনি জানাবেন, তার পছন্দগুলোও ঠিক আপনার মতো। দুজনের মধ্যে মিল খুঁজে বের করতে থাকবেন। আপনার পছন্দের জিনিসগুলো উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এগুলো অসুন্দর হতো না, যদি না পুরুষটি বিবাহিত হতেন!