কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেট, কোমর ও মলদ্বারে ব্যথা হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে চাপ পড়ে কোলনে। এই সমস্যা দীর্ঘ সময় চললে হতে পারে কোলন ক্যান্সারও। তাই শুধু শীতে নয়, সব সময়েই খাবার খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শীতকালেও থাকতে হবে পর্যাপ্ত জল পানের অভ্যাস। নয়তো কোষ্ঠকাঠিন্যের কবলে পড়তে সময় লাগবে না। তাই এমন খাবার খেতে হবে যেগুলো পেট পরিষ্কার রাখতে পারে। জেনে নিন এমনই ৫ খাবার সম্পর্কে-
প্রোবায়োটিক
প্রোবায়োটিক হলো জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া যা প্রাকৃতিকভাবে দই, আচার ইত্যাদি খাবারে পাওয়া যায়। এসব খাবার আমাদের পাকস্থলীর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে উন্নতি ঘটে হজমশক্তির। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, প্রোবায়োটিক অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে উন্নত করে। এর ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কমে প্রদাহ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। পেট থাকে পরিষ্কার।
সবুজ শাক-সবজি
পেট পরিষ্কার রাখার সবুজ শাক-সবজি সহায়ক একটি খাবার। আপনি যদি নিয়মিত সবুজ শাক ও সবজি খান তবে পেট পরিষ্কার রাখার জন্য আর চিন্তা করতে হবে না। এসব শাক-সবজিতে পুষ্টির পাশাপাশি মিলবে পর্যাপ্ত ফাইবারও। এগুলো পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী। তাই মলত্যাগে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না।
ডাল
নানা ধরনের ডাল আপনি বাজারে কিনতে পাবেন। বাঙালি রান্নায় ডালের পদ থাকেই। এই ডাল কিন্তু আপনার পেট পরিষ্কার রাখতেও কাজ করে। মসুর, মটর, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার যা হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে। তাই পেট পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত ডাল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
ফল
পেট পরিষ্কার রাখার জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো বিভিন্ন ধরনের ফল। ফাইবার সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল যেমন আপেল, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এগুলো নিয়মিত খেলে আপনি মলত্যাগের সময় আর কোনো সমস্যাই অনুভব করবেন না। এসব ফলে ফাইবার ছাড়াও থাকে পর্যাপ্ত জল, ফ্রুক্টোজ ও সরবিটল। যা পেট পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক।
জল
পেট পরিষ্কার রাখার আরেকটি সহজ উপায় হলো জল পান করা। শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখার জন্য প্রতিদিন প্রয়োজনীয় জল পান করতে হবে। তবে তা যেন অতিরিক্ত না হয়। শরীরে জলের অভাব হলে পেট পরিষ্কার করা কঠিন হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন দুই-তিন লিটার জল পান করলেই যথেষ্ট। এটি আপনাকে সতেজ রাখবে এবং পেট পরিষ্কার করবে সহজে।