বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন? প্রথম দিকে এড়িয়ে যাওয়ার ফল এমন যে আজ ঘন ঘন ছুটতে হচ্ছে শৌচাগারে! ডায়রিয়া আপনাকে প্রায় শয্যাশায়ী করে দিয়েছে। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেরই খাওয়া দাওয়ার অনিয়মে ডায়রিয়ার কবলে পড়েন। ডায়রিয়া হলেই শরীরে জলের অভাব সৃষ্টি হয় দ্রুত বেরিয়ে যায় নুন ও চিনি।
তাই এই সময় এই বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখুন-
- ডায়রিয়ায় প্রচুর পরিমানে জল খান যাতে শরীর সুস্থ রাখতে জল, নুন ও চিনির ঘাটতি তৈরি না হয় পায়। এর ফলে লো ব্লাড প্রেসার, রক্ত শর্কারার মাত্রা কমে যাওয়া কিংবা ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
- এমন খাবার খান যাতে শরীরে থেকে বেরিয়ে যাওয়া পুষ্টি ও জলের ঘাটতি মেটাতে পারে।
- এই সময় এমন খাবার যাতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে ভুলেও খাবেন না এতে সমস্যা আরও বাড়বে। অ্যার্টিফিসিয়ালি সুইট কিংবা বেশি পরিমানে নুন, তেল বা মশলা রয়েছে এ রকম খাবার এড়িয়ে যান।
এই সময় এমন খাবার খান যা সহজ পাচ্য। যেমন-
খিচুড়ি খেতে পারেন- খিচুড়ি খেতে আপনার ভাল লাগুক কিংবা না লাগুক। অসুস্থ মানুষের পথ্য হিসেবে খিচুড়ির বিকল্প নেই। তবে এই খিচুড়ি কিন্তু ইলিশ মাছের সঙ্গে খাওয়ার মতো মশলা দিয়ে বানানো খিচুড়ি নয়। বরং শুধু ডালে চালে বানানো এই খিচুড়ি যথাসম্ভব হালকা রাখতে হবে। বেশি ঘণ না করে সামান্য পাতলা হলে আরও ভাল হয়। সহজপাচ্য হবে।
সুপ খেতে পারেন- শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও জলের পরিমান বজায় রাখতে সুপ খেতে পারেন। পাশাপাশি সুপ হজম করাও যথেষ্ট সহজ এতে পেটে বেশি চাপ পড়বে না। তবে এই সময় ভারী ও মশলাদার সুপের খাবেন না। এই সময় স্বাদের থেকেও জরুরী শরীরে পুষ্টির সঠিক পরিমান বজায় রাখা।
দই-ভাত খেতে পারেন- দইয়ে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন ও অন্যন্য পুষ্টি থাকে। এই প্রোবায়োটিক পাচনতন্ত্রের গুড ব্যাক্টেরিয়ার জন্য ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া একেবারে স্বাদহীন খাবার খাওয়ার বদলে দই দিয়ে ভাত খেলে খেতেও ভাল লাগবে আবার মুখের স্বাদও বদল হবে।
শাক সবজি ও ফল সেদ্ধ করে খেতে পারেন- ডায়রিয়ার ফলে খিদে একেবারে মরে যায়। তবে খাবারে অনিচ্ছা থাকলেও এই সময় অন্তত কিছু পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে মাথায় রাখতে হবে যাই খান তা যেন সহজপাচ্য হয়। তাই ব্রোকোলি, গাজর, আলু কিংবা ফলের মধ্যে আপেল সেদ্ধ করে খেতে পারেন। স্বাদ আনতে সামন্য একটু নুন ছিটিয়ে নিতে পারেন।
কলা দিয়ে পিনাট বাটার টোস্ট খেতে পারেন- শরীর কিছুটা সুস্থ হলে এবং গমে অ্যালার্জি না থাকলে। একঘেয়ে সেদ্ধ খাবারের স্বাদ বদলাতে কলা ও পিনাট বাটার দিয়ে টোস্ট বানিয়ে খেতে পারেন। এটা বানানো সহজ আর এতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে। তবে যে পিনাট বাটারে আর্টিফিসিয়াল ফ্লেভার ও প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকলে তা খাবেন না। তাই পিনাট বাটারেরর লেবেল দেখে নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন।