ভালোবাসার সুন্দর ও মধুময় অনুভূতি থেকেই মানুষ প্রেমে পড়েন বা সম্পর্কে জড়ান। তবে সবার ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। দেখা যায়, দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর হঠাৎ কোনো কারণে বিচ্ছেদ হলে সঙ্গীকে ভুলে যাওয়াটা হয় সবথেকে কষ্টের। এ সময় নিঃসঙ্গতা জেঁকে বসে। এমনটা হওয়া স্বাভাবিক।
মনোবিদদের মতে, একটা অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা জীবন, একজন বিশেষ মানুষের উপস্থিতিতে দিন গুজরান- এসব হারিয়ে ফেলার ভয়েই অনেকে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহ্য করতে পারেন না। একা থাকার ভয় তাদের ঘিরে ধরে। নিরাপত্তাহীনতাই তাদের না ভেবে চিন্তে হঠাৎ কোনো ভুল পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু জীবন তো এমনই, উত্থান-পতন থাকবেই। তাই এই নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতেই হবে।
ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ও জীবনধারাবিষয়ক সাময়িকী ফেমিনার এক প্রতিবেদনে হঠাৎ নিঃসঙ্গ হলে কী করণীয়, সে সম্পর্কে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চলুন তবে সেগুলো জেনে নেয়া যাক-
>> এমন পরিস্থিতি সামলানোর মতো ক্ষমতা সবার থাকে না। মনের জোরের উপর নির্ভর করে কে কতটা সহজে এমন সমস্যার সঙ্গে লড়তে পারবেন। যদি মনে হয়, এ সমস্যার মোকাবিলায় একা সম্ভব নয়, তাহলে অবশ্যই মনোবিদের সাহায্য নিন। কিছু নিয়মমাফিক চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং সহজেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবে।
>> সত্যকে স্বীকার করুন সহজেই। জীবনের নানা প্রান্তে নানা ঘটনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। তাই ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে ভয় না পেয়ে যা ঘটেছে তাকে সহজেই মেনে নিন। প্রয়োজনে প্রেমের পুরনো স্মৃতি রয়েছে এমন জায়গাগুলো এড়িয়ে যান।
>> লেখার অভ্যাস আছে? লেখাও মানসিক চাপমুক্তির একটা মাধ্যম। তাই প্রেম ভাঙলে ফেলে আসা দিনের কথা লিখে ফেলুন কোথাও।
>> খুব বেশি ভাবার অভ্যাস থাকলে সে ভাবনায় রাশ টানুন। যে কোনো বিষয়ে যত বেশি ভাববেন, সে ভাবনা তত বেশি চেপে বসবে মাথায়। চেষ্টা করুন একা সময় না কাটিয়ে, ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে।
>> প্রয়োজনে পুরনো সঙ্গীর নম্বর ফোন থেকে মুছে দিন। সোশ্যাল সাইট থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। তাতে বারবার তাকে টেক্সট করা বা ফোন করতে চাওয়ার প্রবণতা কমবে।
>> পুরনো সঙ্গী সম্পর্কে খবর দিতে পারে এমন কোনো মানুষ আপনার চারপাশে থাকলে, সদ্য সদ্য প্রেম ভাঙার সময়ে হয় তাকে এড়িয়ে চলুন নয়তো নিষেধ করুন কোনো প্রকার খবরাখবর আপনাকে দিতে। মন স্বাভাবিক হলে ফের যোগাযোগ শুরু করতে পারেন তার সঙ্গে।