আতা ফলের যে এতো গুন্ আগে জানতাম না না জানলে জেনে নিন

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। এ রোগের কারণ হচ্ছে- জল কম খাওয়া ও সময় মেনে খাবার না খাওয়া।

কোষ্ঠকাঠিন্যে মলত্যাগ করতে সময় লাগে এবং মল শক্ত ও ছোট আকারের হয়। পেটে চাপ দিয়ে মলত্যাগ করতে হয় এবং করার পরও অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়।

দীর্ঘদিন এ সমস্যা থাকলে পাইলস হতে পারে। পাইলস বলতে আমরা বুঝি মলদ্বারের ভেতরে ফুলে ওঠা রক্তের শিরার একটি মাংসপিণ্ড। রক্তের শিরার মাংসপিণ্ড বা ‘কুশন’ সব মানুষেরই রয়েছে। পাইলস বা ‘হেমোরয়েড’ আমরা তখনই বলি- যখন এটি কোনো উপসর্গ সৃষ্টি করে। যেমন মলদ্বারের বাইরে ঝুলেপড়া মাংসপিণ্ড অথবা রক্ত যাওয়া।

তবে একটি ফল আছে, যা খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হবে। ফলটির নাম হচ্ছে আতা ফল। এই ফলের গুণের শেষ নেই।

ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্বপূর্ণ উৎস এ ফলটি শরীরের নানা কার্যকারিতা বাড়ায়। আতা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও কপার থাকে।

আসুন জেনে নিই আতা ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

১. আতা ফল অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে ও আলসারের সমস্যা কমায়।

২. ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ আতা ফল চোখের সুরক্ষা করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

৩. নিয়মিত আতা ফল খেলে রক্তশূন্যতার পরিমাণ কমে। কারণ এ ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে।

৪. এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় ওজন কমানোর জন্য কার্যকরী। ফাইবারসমৃদ্ধ আতা ফল কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়।

৫. পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় আতা ফল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy