সুস্থ ত্বকের জন্য যত্ন তো নিতেই হয়। আর তাই ঋতু বিশেষে ত্বকের যত্নে বেশ কিছু পরিবর্তন আমরা করেই থাকি। আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্বককে ভাল রাখতে গেলে এ ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। তবে ত্বকের প্রাথমিক যত্নের যে ক’টি উপায় সারা বছরই কম-বেশি এক থাকে, তার অন্যতম একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার। এর সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর বা এসপিএফ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে।
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে থাকুন বা বাইরে, দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। মেঘলা আকাশ থাকলেও সানস্ক্রিন মাখারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই সানস্ক্রিন নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ঘাম। অনেকেরই সানস্ক্রিনের প্রভাবে তীব্র ঘাম হয়। তাই ত্বক পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতে চান না কেউ কেউ। আবার অনেকে ঘামের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে বারে বারে নানা সংস্থার তৈরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। তাতেও বিশেষ ফল হয় না।
তবে দু’টি ছোট বিষয় জানা থাকলে এই ঘামের হাত থেকে বাঁচতে পারেন আপনিও। বার বার সংস্থা না বদলে আপনার ত্বকে সমস্যা তৈরি করে না এমন কোনও সানস্ক্রিনেই আস্থা রাখুন, কেবল মেনে চলুন দু’টি নিয়ম। তাতে ঘামের হাত থেকে যেমন রক্ষা পাবেন, তেমনই সূর্যের আলোয় পুড়বে না ত্বক।
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমেই সানস্ক্রিন কেনার সময় নির্দিষ্ট এসপিএফ কত তা দেখে নিন, আমাদের ধারণা, বেশি এসপিএফ মানেই বোধ হয় বেশি সূর্যালোক রোধ করা। এই ধারণা ঠিক নয়। সাধারণত, নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এসপিএফ বাছা উচিত। এবার অবলম্বন করুন ছোট একটি কৌশল। সানস্ক্রিন মাখার আগে অবশ্যই তাতে সামান্য জল মিশিয়ে নিন। সানস্ক্রিনের সঙ্গে জলর এই মিশ্রণ ভাল করে মেখে নিন শরীরে।
জলর প্রভাবে শরীরের রোমকূপকে ঠাণ্ডা রাখবে, আবার সামস্ক্রিনের মধ্যে থাকা রাসায়নিকের ঘনত্বকেও জল অনেকটা লঘু করে দেবে। ফলে ঘাম কমে যাবে অনেকটাই। কাজেই ঘামের ভয়ে সানস্ক্রিন মাখা বন্ধ করার কোনও কারণই নেই! বরং এই উপায়ে সানস্ক্রিন মেখে সূর্যালোক থেকে দূরে রাখুন ত্বক।