আধুনিক লাইফস্টাইলে অনেকে খাওয়া ও ঘুমের সময়ও ঠিক মতো পান না। কেউ কেউ কর্মব্যস্ত দৌড়ের জীবনে আছেন, আবার কেউ কেউ কেরিয়ার গড়ার পেছনে ব্যস্ত থাকেন। তাই এদের কাছে গুছিয়ে রান্না করা একটা বিলাসিতা। যেটুকু সম্ভব হয় তাতেই হয়তো এদের চলে যায়। কিন্তু মুশকিল হলো রান্নাবান্না ও খাবারদাবারের পরের প্রক্রিয়াটি।
খাওয়ার আগে বা পরে বাসন মাজার কথা তো ভাবতেই পারেন না এ প্রজন্মের মহিলারা। যদি কোন অন্য উপায় না থাকে তবে বাধ্য হয়েই হাত লাগাতে হয়। তখন এদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠে লিকুইড ডিশ ওয়াশ। এছাড়া তেল চিটচিটে বাসন কিংবা পুড়ে যাওয়া কড়াইর দাগ তুলতে সবারই এখন ভরসা বাসন মাজার এই সাবান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপদ এখানেই। বাসন মাজার সাবানের কেমিক্যাল ডেকে আনছে ক্ষতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসন মাজার সাবানে থাকে প্রচুর ক্ষতিকর রাসায়নিক। এই সাবানে ধোয়া বাসনে দীর্ঘদিন খেতে থাকলে বিপদ। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি এবং র্যাশের সমস্যা আছে, তা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
অনেক রাসায়নিক চামড়ায় মিশে যায়। সেখান থেকে সরাসরি চলে যায় রক্তে। এভাবে আস্তে আস্তে শরীরে জমতে থাকে দূষিত পদার্থ। এ থেকে চামড়ার অসুখ, ঘুম ঘুম ভাব, মাথার যন্ত্রণা, ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এছাড়া হার্টের সমস্যা, ফুসফুসের সংক্রমণ, চোখের সমস্যাও হতে পারে ডিশ ওয়াশ সাবান থেকে।