মা হওয়া মোটেও সহজ কিছু নয়। গর্ভধারণের শুরু থেকে প্রসবের পরেও নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন মাকে। তবে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব কষ্ট এক নিমিষে ভুলে যান মা। হৃদয়ে প্রশান্তি মিললেও শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। সন্তান জন্মদানের পর মায়ের অকারণেই মন খারাপ বা ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। বাহ্যিক যেসব পরিবর্তন আসে তার মধ্যে একটি হলো চুল পড়া। মা হওয়ার পর বেশিরভাগ মায়ের চুল অনেক বেশি পড়ে।
সন্তানের দেখাশোনার বেশিরভাগ দায়িত্ব পালন করেন মা। যে কারণে মায়ের রুটিনে অনেক পরিবর্তন আসে। তাই নিজের যত্ন নেওয়ার সময়টুকুও মেলে না মায়ের। ফলস্বরূপ বেড়ে যায় চুল পড়ার পরিমাণ। চুল যতই ঘন হোক, সন্তানের জন্মের পর মায়ের চুল পাতলা হতে শুরু করে। অনেকের গর্ভাবস্থার শুরু থেকে চুল পড়া বেড়ে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, সন্তান প্রসবের পরে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। তাই এসময় চুল পড়া বেড়ে গেলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বেশিরভাগ সময়েই সন্তানের জন্মের বছরখানেকের মধ্যে মায়ের চুল আবার স্বাভাবিক ঘনত্ব ফিরে পায়। তবে এক্ষেত্রে চুল পড়ার পরিমাণ কমাতে মায়েরা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
ব্যালেন্সড ডায়েট
একটি পরিপূর্ণ খাবারের তালিকা আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। শরীর সুস্থ থাকলে আরো অনেক সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়ে যায়। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যকর ও ব্যালেন্সড ডায়েটের অভ্যাস করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্রোটিনযুক্ত শ্যাম্পু
এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটি প্রোটিনযুক্ত। কারণ এ ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে তা চুলে ভলিউম আনে। ফলে বাড়ে চুলের ঘনত্ব। সেইসঙ্গে এমন কোনো কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না, যার কারণে চুল পাতলা দেখায়।
চুলের স্টাইল পরিবর্তন
বাচ্চা হওয়ার পর চুলের কাটিং বা স্টাইলে পরিবর্তন আনতে পারেন। সদ্য মা হলে সন্তানের যত্ন নেয়ার পর নিজেকে সময় দেওয়ার সুযোগ হয় না। এক্ষেত্রে চুল কেটে ছোট করে নিতে পারেন। চুলের দৈর্ঘ ছোট হলে দেখতে ভালোলাগে আবার চুলও অনেকটা ঘন দেখায়। চুল খুব বেশি পড়তে থাকলে চুল টেনে বাঁধবেন না। এতে গোড়া দুর্বল হয়ে চুল আরও বেশি পড়তে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
যদি নির্দিষ্ট সময়ের পরেও চুল পড়ার পরিমাণ না কমে এবং চুল দিনদিন পাতলা হতে থাকে তাহলে খুব দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এর কারণ হলো আপনার চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কিংবা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ।