প্রাচীন ভারতে জ্যোতিষ চর্চা এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখে তার ভুত ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নানারকম তথ্য বলে দিতে পারতেন মুনি ঋষিরা। সামুদ্রিক শাস্ত্রে এই সম্বন্ধে জানা যায়। আর এই সামুদ্রিক শাস্ত্রতেই লেখা আছে মানুষের দাঁত দেখে তার ভাগ্য বলে দেওয়ারও পদ্ধতি। কিভাবে সেটা সম্ভব জেনে নিন বিস্তারিত নীচে।
যাদের দাঁতের পাটি সমান ও সুন্দর ভাবে সাজানো তাদের ভাগ্য খুবই ভালো হয়। যাদের দাঁতে গুলো এক্টার উপর আর একটা উঠে গেছে তাদের সৌভাগ্যের পথে কাঁটা বিছানো। সাফল্য পেতে তাদের অনেক কাটখড় পোড়াতে হয়।
আপনার দাঁত কি হলদেটে ধরণের? অনেক চেষ্টা করেও দাঁত সাদা হচ্ছে না? তাহলে হতাশ হবেন না। সমুদ্রশাস্ত্র বলছে হালকা হলুদ দাঁতের অধিকারীরা খুবই সৌভাগ্যের অধিকারী হয়। বরং যাদের ঝকঝকে সাদা দাঁত থাকে তাদের জীবনে কিছু দুর্দশা থাকে।
খুব ছোট ছোট দাঁত অশুভ বলে মনে করা হয়। এর অর্থ সেই মানুষটাকে সহজে বিশ্বাস না করাই ভালো। আবার পূর্ণ বয়স্ক যে মানুষটার মুখে পুরো ৩২ পাটি দাঁত আছে তিনি ধনী, শিক্ষিত এবং সমাজে পূর্ণ সম্মান পেয়ে থাকেন। কিন্তু আবার দাঁতের সংখ্যা ৩০ এর কম হলে জীবনে অনেক ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এদের স্বাস্থ্যও তেমন ভালো থাকে না।
যাদের দাঁতে ফাঁকা থাকে তারা খুব বেশি কথা বলেন। তবে কোন কিছুই খুব সহজে এরা গোপন করে ফেলতে পারেন। আবার দাঁতের মাড়ি যদি খুব চওড়া হয় তাহলে মনে করা হয় সেই ব্যক্তির ইগো খুব বেশি। তবে জীবনের একটা বড় অংশ এরা দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে কাটান।
যাদের দাঁতের মাড়ি গোলাপি হয় তারা দয়ালু, ভদ্র ও সংবেদনশীল হয়। আবার যাদের মাড়ির রঙ কালচে ধরণের তারা সহজেই রেগে যান। খুব অল্পতেই এরা হিংস্র হপ্যে উঠতে পারেন।