গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি। এই সময় একটু স্বস্তির আশায় মানুষ কত কি না করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই সময়টি আরো বেশি কঠিন। বিশেষ করে গরমকালে শরীরচর্চার অভাব ও দৈনন্দিন জীবনের নিয়ম মেনে না চলা মধুমেহ রোগীদের জন্য মোটেও ভালো নয়। সঙ্গে যুক্ত হয় জলের ঘাটতি।
এর ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গরমকাল খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। কোন কোন বিষয়ে ডায়াবিটিস রোগীদের এই সময়ে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে চলুন জেনে নেয়া যাক-
পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ
গরমে অনেক সময়েই খাওয়াদাওয়ায় অনীহা দেখা দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে শক্তি সরবরাহকারী ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট। একবারে না খেতে ইচ্ছা করলে বারবার অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এ সময়ে তেল-মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই বিচক্ষণতার কাজ। পাশাপাশি, বেশি খেতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার।
শারীরিক সক্রিয়তা
গরমকালে শরীরচর্চা করা সত্যিই অসুবিধাজনক। বিশেষ করে বাইরে হাঁটাহাঁটি করা অত্যন্ত শ্রমসাধ্য বিষয় হয়ে ওঠে এই সময়ে। তাই চেষ্টা করুন বাড়ির ভেতরেই শরীরচর্চা করার। ১৫ মিনিটের পরিমিত ব্যায়ামও শর্করার স্তরকে প্রভাবিত করতে পারে। সুতরাং যতই অলস লাগুক, অল্পবিস্তর শরীরচর্চা করতেই হবে।
পর্যাপ্ত জল পান করা
সুস্থ্য মানুষের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীদের ‘ডিহাইড্রেশন’-এর ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। জলের ঘাটতি তৈরি হলে শর্করার ভারসাম্য যেমন বিগড়ে যায়, তেমনই বিগড়ে যায় বিভিন্ন খনিজ পদার্থের ভারসাম্যও। তাই প্রতিনিয়ত জল পান করা আবশ্যক। তবে বেশি নরম পানীয় কিংবা চা-কফি পান করা উচিত নয়। এতে জলশূন্যতার ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।