ক্যান্সার একটি মরণব্যধি। একবার এই রোগে কেউ আক্রান্ত হলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আধুনিক জীবনযাত্রা, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, অতিরিক্ত দূষণ ইত্যাদি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ। ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, তার মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার অন্যতম।
মূলত ধূমপায়ীদেরই ফুসফুসে ক্যান্সার হয় বলে ধারণা রয়েছে আমাদের। কারো ফুসফুসে ক্যান্সার হলেই আমরা ধরে নিই, তিনি ধূমপায়ী ছিলেন। কিন্তু ধূমপান না করলেও ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এক্ষেত্রে কোন কোন সংকেত পেলে বেশি সাবধান হতে হবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
>> ঘন ঘন সর্দি-কাশি লেগেই আছে? এমন কিন্তু স্বাভাবিক নয়। যদি কিছু দিন অন্তর ঠান্ডা লেগে থাকে, তবে বুঝতে হবে শরীরের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে। সাধারণ কাশি সপ্তাহ খানেকের বেশি স্থায়ী হয় না। তাই দীর্ঘদিন যদি কাশি না কমে, তাহলে সাবধান হওয়া জরুরি।
>> হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ধরনে বদল আসা ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। ফুসফুসে টিউমার তৈরি হলে বায়ু প্রবাহের পথ রুদ্ধ হতে পারে। আবার কখনো কখনো টিউমারের প্রভাবে ফুসফুসে জল জমে যেতে পারে। কাজেই অল্প হাঁটাহাঁটি কিংবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই যদি দম ফুরিয়ে আসার উপক্রম হয়, তবে তা উপেক্ষা করা বাঞ্ছনীয় নয়।
>> সর্বক্ষণ ক্লান্ত লাগলে উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে এই সব উপসর্গ ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। ফুসফুস ঠিক ভাবে কাজ না করলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হয়। তা থেকেই ক্লান্তি আসতে পারে।
>> গলার আওয়াজ অন্য রকম লাগছে কি? সর্দি-কাশি হলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘদিন গলা বসে যাওয়া, গলার স্বর ভারী হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
>> বুকে কফ জমার প্রবণতা বেড়ে গিয়ে থাকলেও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কিন্তু এক বার বুকে কফ জমলে যদি তা আর না যেতে চায়, তবেও ফুসফুসের হাল নিয়ে কিছুটা সতর্ক হওয়া দরকার। কফের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। এর সঙ্গে হাসতে গেলে বা কাশির সময় যদি বুকে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
>> মুখের এক দিকটা ফোলা দেখাচ্ছে? ঠান্ডা লাগলে কিংবা দাঁতে ব্যথা হলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু এই ফোলা ভাব দীর্ঘদিন থাকলে সতর্ক হন, এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।