কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে শরীর সব ধরনের জরুরি উপাদান পাচ্ছে কিনা। খাদ্যাভ্যাসের গোলমালের কারণে অনেক সময় শরীরে প্রোটিনের অভাব দেখা যায়। তবে সহজে তা বোঝা যায় না। ঘাটতির মাত্রা বাড়তে থাকলে তখন নানা ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। কারও কর্মশক্তি কমে যায়। কারও বা বিপাক হার দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু এই অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি।
পরবর্তী সময়ে যাতে প্রোটিনের ঘাটতি বড় কোনো সমস্যা ডেকে আনতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কয়েকটি লক্ষণ খেয়াল করলেই তা বোঝা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব বিষয়গুলি-
১) ক্লান্তি: এটি প্রোটিনের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ। শরীর দুর্বল হতে থাকে। কাজ করতে ইচ্ছা করে না। কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। ভারি কাজ করতে হবে ভাবলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এমন ক্ষেত্রে।
২) শক্তি কম: গায়ের জোর, পেশির শক্তি কমতে থাকে শরীরে প্রোটিনের অভাব ঘটলে। পেশিশক্তি হঠাৎ কম মনে হলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
৩) মাঝেমাঝেই খিদে পায়: শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করার জন্য বার বার খিদে পায়। ভরপেট খাবার খাওয়ার পরেও অনেক সময়ে খিদে পেতে থাকে।
৪) হাত-পা ফোলা: কিডনির ওপর চাপ পড়ে শরীরে প্রোটিনের অভাব থাকলে। সেক্ষেত্রে হাত-পায়ে ফোলা ভাব দেখা দেয়। চোখ ফুলে যায়।
৫) নখের রং চলে যায়: সাধারণত নখের রং গোলাপি হয়। কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতি হলে নখ সাদা হতে শুরু করে। যদি নখ অতিরিক্ত সাদা দেখায়, তবে সচেতন হওয়া জরুরি।
উল্লিখিত এমন কোনো একটি লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার। আর পুষ্টিবিদের কাছে গিয়ে খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন ঘটান। বড় কোনো রোগ ডেকে না এনে, আগেই সতর্ক হোন।