ভাত ছাড়া বাঙালির ভোজন পর্ব শেষ হয়েছে, এটা অবিশ্বাস্য। তাইতো নানান জাতের চালে নানান রকম ভাত খেয়ে থাকেন সবাই। বিশেষ করে দুপুরে ভাত খাওয়াটা বাঙালির বিশেষ প্রিয়। কিন্তু জানেন কী, ভাত সঠিক ভাবে সেদ্ধ না হলে কিংবা একটু শক্ত থাকলেও এটি শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা জানা গেছে, ধান উৎপাদনের সময়টাতে মাঠের কীটনাশক নানানভাবে একে বিষাক্ত করে তুলতে পারে। এমনকি এর থেকে আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত প্রভাবের সৃষ্টি হতেই পারে। শুধু তাই নয়, সঠিক ভাবে ভাত রান্না না করা হলে এর থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
প্রথমত, চাল কোনোভাবেই বস্তায় ফেলে রাখবেন না, এটিকে পরিষ্কার শুকনো জায়গায় রাখুন এবং অবশ্যই ঢাকা দিয়ে রাখুন। অনেক সময় কোনো কাঁচা ফল বা সবজি পাকাতে চালের মধ্যে ফেলে রাখা হয়। সেই ক্ষেত্রে একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে তারপরেই রাখলে ভালো হয়। তা না হলে চালের ক্ষতি হতে পারে।
কম রান্না হাওয়া চাল একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যের উদ্বেগের সঙ্গে সঙ্গেই এতে যুক্ত থাকা বিষাক্ত কীটনাশক ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে সঞ্চালিত হতে পারে। যার থেকে ব্রেন টিউমারের মতো রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তার সঙ্গে রান্নার আগে চাল ভালো করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পারলে অল্প একটু লবণ দিতে পারেন গরম জলতে।
মনে রাখবেন, কাঁচা চাল খাওয়া কখনোই নিরাপদ নয়। এটিতে চূড়ান্ত মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থাকতে পারে। যা শরীর স্বাস্থ্য এবং পেটের পক্ষে খারাপ।এর ফলে বদহজম থেকে ডায়রিয়া অনেক কিছুই হতে পারে। আধা রান্না করা চালের থেকে বিষক্রিয়া ক্রমশই বাড়তে পারে। কারণ ভাত ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া যেমন ভ্যাসিলাস সেরিয়াসকে আশ্রয় দিতে পারে। তাই উচ্চ তাপমাত্রায় ভাত রান্না করা খুব দরকার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মহিলাদের মধ্যে ভাত থেকে সংক্রমণ হয় তুলনামূলক বেশি। মূলত ব্রেস্ট ক্যান্সার এমনকি লিভার ক্যান্সার জাতীয় মারণ রোগ এর থেকে হতে পারে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চাল সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে গেলে আগের দিন রাত থেকে একে ভিজিয়ে রাখলে ভালো হয়। অল্প একটু লবণ ফেলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ঠাণ্ডা পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তাই নিজের খাবার এবং শরীরের প্রতি কখনোই আপোস করবেন না। তাই সঠিকভাবে রান্না করা ভাত খাবেন এবং রোগবালাই থেকে নিরাপদ থাকুন।