সাধারণত বয়স্করা গেঁটে বাতের ব্যথায় বেশি ভোগেন। তবে যে কোনও বয়সিদের মধ্যেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাতের ব্যথার কারণে হাঁটা-চলার স্বাভাবিক গতি কমে আসে। কর্মদক্ষতাও হ্রাস পায়। তাই এই ব্যথাকে অবহেলা না করে শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি। এই পরিস্থিতিতে জীবনযাপন থেকে শুরু করে খাদ্যাভ্যাসেও অনেকটাই বদল আনতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটির কারণে বেড়ে যেতে পারে এই সমস্যা।
গেঁটে বাত হলে খাদ্যাভাসে যেসব পরিবর্তন আনা জরুরি-
১. দই, ছাঁচ, আচার ইত্যাদি খাবার প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস। এই খাদ্যগুলি শরীরের কর্টিসলের মাত্রা কমায়। ফলে অবসাদ কমে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। তবে যে কোনও ব্যথায় ভুগলে এই ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
২. মিষ্টি শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। মিষ্টি খেলে শরীরে অধিক পরিমাণে ক্যালোরি প্রবেশ করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার গেঁটে বাতের ব্যথার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার না থাকলে গেঁটে বাতের ব্যথা আরও বাড়বে। তাই সতর্ক থাকুন।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এই ধরনের খাবার দীর্ঘ দিন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও এই রকম খাবারে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ ও চিনি ব্যবহার করা হয়। গেঁটে বাতের সমস্যা থাকলে এই খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫. অ্যালকোহল পান গেঁটে বাতের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অ্যালকোহল পান না করাই ভালো।
৬. অত্যধিক ভাজাভুজি খেলে ওজন বাড়বেই। ওজন বেড়ে গেলে শরীরের নানা রোগব্যধি বাসা বাঁধে। ওজন বাড়লে হাঁটুর উপরে চাপ পড়ে। ফলে গেঁটে বাতের ব্যথা আরও বেড়ে যায়।