শ্রবণশক্তি হ্রাস বয়স বাড়ার একটি অনিবার্য অংশ। তবে এর তীব্রতা সবার জন্য সমান নয়। শ্রবণশক্তি কখনও ধীরে খারাপ হয়, কখনও আকস্মিক প্রভাবেও কেউ কেউ হারাতে পারেন শ্রবণশক্তি। কিন্তু শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে পুষ্টি এবং খাদ্যাভ্যাসের কি কোনো যোগ রয়েছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো একটি নির্দিষ্ট খাবার খেলে বা না খেলে তার প্রভাব শ্রবণশক্তির ওপর পড়ে কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কিন্তু সাধারণভাবে পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে। তবে খাদ্যাভ্যাসে এই ধরনের উপাদানগুলি না থাকলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা বেশি বলে মনে করেন কেউ কেউ।
ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এপিডেমিওলজিতে প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পশ্চিমা বিশ্বের প্রচলিত বেশ কিছু খাবারের সঙ্গে ইডিওপ্যাথিক বা আকস্মিক বধিরতার যোগ রয়েছে। এই খাবারগুলির মধ্যে মূলত প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস এবং অতিরিক্ত চিনিসমৃদ্ধ খাবারের কথা বলা হয়েছে।
১৬৪ জন মানুষের ওপর করা এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাদ্যাভ্যাস হঠাৎ শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্য দিকে, জাপানে প্রচলিত খাবারদাবার শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে সবচেয়ে উপযোগী বলেও মত গবেষকদের। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে আরও বিশদ গবেষণার প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।