নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষ
পুরুষদের মতো নারীদেরও পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়াও পেটের সমস্যাসহ ক্লান্তি, হালকা মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের কয়েক সপ্তাহ আগে নারীদের ফ্লু বের হতে পারে এবং অনিদ্রা দেখা দিতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত করণীয়
>> জরুরি ভিত্তিতে অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।
>> হার্ট অ্যাটাকের পরপরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন। গায়ের জামা-কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
>> রোগীর শরীরে বাতাস চলাচলের সব রাস্তা উন্মুক্ত করে দিতে হবে, যাতে রোগী গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন।
>> হার্ট অ্যাটাকের পর যদি রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে।
>> রোগী বমি করলে তাকে একদিকে কাঁত করে দিন। যাতে সহজেই সে বমি করতে পারে।
>> হার্ট অ্যাটাকের পর হৃৎপিণ্ডের রক্তের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাজারে প্রচলিত ৩০০ মি.গ্রা. ডিসপ্রিন (অ্যাসপিরিন), ৩০০মি.গ্রা. ক্লোপিডোগ্রেল, ৪০ মি.গ্রা. অ্যার্টভাস্টাটিন এবং ৪০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল খেয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।
হার্ট অ্যাটাকের প্রতিকার
>> হৃদরোগের প্রধান শত্রু হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপান থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকুন।
>> ধূমপানের মতো মাদক ব্যবহারও হৃদরোগের আরেকটি কারণ। তাই সব ধরনের মাদকদ্রব্য পরিহার করা উচিত।
>> অযথা দুঃশ্চিন্তা করবেন না। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে মেডিটেশন বা ইয়োগা করুন।
>> মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
>> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এজন্য নিয়মিত হাঁটা-চলা ও ব্যায়াম করে নিজেকে সুস্থ রাখুন।
>> প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।