মানুষ মাত্রই প্রেমে পড়ে। প্রেম দুটি মানুষের মধ্যে বন্ধন গড়ে দেয়। অমর প্রেমের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে রোমিও-জুলিয়েট, লাইলি ও মজনু, সেলিম ও আনারকলি, শাহজাহান ও মমতাজ, মার্ক অ্যান্টোনি ও ক্লিওপেট্রা, অবকিয়াস ও ইউরিবাইস-আরো অনেকে। যে কোন প্রেমের পেছনে রয়েছে হরমোন আর রাসায়নিকের কর্ম। যা ধাপে ধাপে প্রভাব ফেলে।
>>প্রেমে পড়লে প্রথমেই এল ‘হাইপোথ্যালামাস’: নিঃসরণ ‘ডোপামিন’। এই হরমোন নিঃসরণ হলে পরমানন্দ অনুভব হয়, দারুণ রোমান্সের শুরু হয় মনে ও শরীরে। চারিদিকে যেন আনন্দ আর আনন্দ।
>>এদিকে ডোপামিনের মান যত বাড়তে থাকে, কমতে থাকে আরেকটি রাসায়নিক ‘সেরোটনিন’। মনমেজাজ আর ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
>> ডোপোমিনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরে উৎপন্ন হয় ‘নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর’। নতুন প্রেমে পড়ে যারা, তাদের মধ্যে এই বস্তুটা বড় বেশি। সম্প্রতি প্রেমে পড়েছে যারা, তাদের তুলনায় যারা প্রেমে নেই বা দীর্ঘ সম্পর্কের মধ্যে নেই, এদের মধ্যে নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টর থাকে কম। নার্ভ গ্রোথ ফ্যাক্টরের পরিমাণের সঙ্গে রোমান্টিক অনুভূতির রয়েছে সরাসরি সম্পর্ক। এটি বাড়লে রোমান্টিকতা বাড়ে।
>> হরমোন অক্সিটোসিন ও ভেসোপ্রেসিনের প্রভাবে পরস্পর সংযোগ, একে অপরকে অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়। দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বা প্রেমের পেছনে রয়েছে এ দুটি হরমোনের মূল্যবান অবদান। এই দুটি হরমোন আসে ‘হাইপোথ্যালামাস’ থেকে। এরপর এরা সঞ্চিত থাকে পিটুইটারির পশ্চাৎলোকে, সেখান থেকে প্রয়োজনে নিঃসৃত শরীরে। তীব্র আবেগ উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ওঠার সীমানায়, এই হরমোন দুটি প্রবেশ করে রক্তস্রোতে।
>> মস্তিষ্কের রোমান্টিক কেন্দ্রে, প্রভাব ফেলে এমগডেলা। বিচারবুদ্ধি যায় কমে—প্রেমে পড়া মানুষ হয় নির্ভার, নির্ভয়।