নখকুনি ছোট্ট একটি সমস্যা কিন্তু খুবই যন্ত্রণাদায়ক। বর্ষায় এই সমস্যা অনেককেই ভুগতে হয়। হাতে বা পায়ের নখে এই সমস্যা হলে বেশ কয়েক দিন হাঁটাচলা বা কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়। এর মাধ্যমে সংক্রমণও সৃষ্টি হতে পারে। তাই সমস্যা ছোট মনে না করে একে গুরুত্ব দিন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও’র ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’-এর পোডিয়াট্রিস্ট (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) জিওরজিয়ানি বুটেক জানান, নখের পাশের ত্বকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ফাটলের মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এর ফলে আরও অনেক বেশি যন্ত্রণা হতে থাকে।
কখনও খুব ছোট করে নখ কাটতে গিয়ে ত্বকের মধ্যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কখনও আবার কোনও কিছুতে খোঁচা লেগেও নখের কোণে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আবার নিজেদের দোষেও হতে পারে এটি, অনেকেই নখের আশপাশে খোঁচখুচি করে থাকেন। এর ফলে ক্ষতির সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত স্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে নখকুনিতে যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক নখকুনির ৫টি অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে…
সাদা ভিনিগার
২ কাপ উষ্ণ গরম জলে ১ কাপ সাদা ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনিগার মেশানো জলে মিনিট পনেরো নখকুনি আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দু’-এক দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনির সমস্যা।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
২ কাপ জলের সঙ্গে ২ কাপ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট নখকুনি আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দু’-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।
পাতিলেবুর রস
নখকুনি আক্রান্ত অংশে জায়গায় দু’-এক ফোঁটা পাতিলেবুর রস লাগান। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
টি ট্রি অয়েল
১ চামচ নারিকেল তেলে ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই তেল তুলা দিয়ে নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। দিনের মধ্যে দু’-তিন বার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে নখকুনি।
রসুন
১ কাপ সাদা ভিনিগারের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। অবশ্যই উপকার পাবেন।