ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে দ্রুত চিকিৎসা দরকার

ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী। রোজই দেশের নানা প্রান্তের মানুষ নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের জীবনযাত্রার ভুলভ্রান্তি এবং খাদ্যাভ্যাস এই রোগটিক ডেকে আনছে বলেই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এই রোগ দেখা দেওয়ার পরও অনেকে রোগটির চিকিৎসা ঠিকমতো করান না। নিয়ন্ত্রণে রাখেন না ব্লাডসুগার। সেক্ষেত্রে দেখা দেয় নানা সমস্যা।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে অন্যান্য কী সমস্যা হতে পারে?

> বেশকিছু ওষুধ বা ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর শরীরে হঠাৎ করে নেমে যেতে পারে সুগার লেভেল। এক্ষেত্রে ব্যক্তির মাথা ঘোরা, হাত-পা কাঁপা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রথম থেকেই এই সমস্যা থেকে নিজেকে বাচিয়ে চলতে হবে। আর কোনও সময় এমন সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিনি, চকোলেট লজেন্স খেয়ে নিন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

> রক্তে সুগার বাড়ার ঘটনাকে বলে হাইপারগ্লাইসেমিয়া। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সুগার অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। তখন হাত-পা কাঁপা, বারবার প্রস্রাব হওয়া, দুর্বল লাগা এমনকী মাথাঘোরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হাইপারগ্লাইসেমিয়ার চিকিৎসা করা উচিত।

> ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস রোগটি ডায়াবিটিস আক্রান্তদের মৃত্যুর মুখে পর্যন্ত ঠেলে দিতে পারে। এক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ব্লাডসুগারের জন্য শরীর দ্রুত হারে ফ্যাট ভেঙে ফেলতে শুরু করে। এই কারণে শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ খুব কমে যায়। ফলে শক্তির উৎস খুঁজতে ফ্যাট গলানো শুরু করে শরীর। এই বিশাল পরিমাণ ফ্যাট গলে যাওয়ার কারণে রক্তে হয়ে যায় অ্যাসিডিক। এই সমস্যা সমাধান করতে শরীর বেশি পরিমাণে ইউরিন তৈরি করে। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বমি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এই সমস্যার দ্রুত চিকিৎসা দরকার।

হাইপারস্মোলার হাইপারগ্লাইসেমিয়া খুবই বিরল সমস্যা। বয়স্ক ব্যক্তিদের অন্য কোনও ইনফেকশন থাকলে এই সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে দৃষ্টি চলে যাওয়া, অবাক কল্পনা, শরীরের একদিকে দুর্বলতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যার দ্রুত চিকিৎসা দরকার।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy