তাপমাত্রার পারদ বাড়ছেই। গরমে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেয়। বিশেষ করে এ সময় ছোট-বড় সবাই ঘামাচির যন্ত্রণায় ভোগেন। শরীরে ঘাম তৈরি হলে ওই গ্রন্থির মাধ্যমে তা ত্বকের উপরিভাগে চলে আসে।
প্রচণ্ড গরমে ঘাম অনেক বেশি তৈরি হয়। তখন সবগুলো ঘর্মগ্রন্থির ছিদ্রপথ দ্বারা ঘাম বের হতে পারে না। ফলে ত্বকের নিচের ঘর্মগ্রন্থি ফেটে যায়। আর তখনই ত্বকে ছোট ছোট লালচে র্যাশ বা ফোসকা পড়ে।
ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে সবচেয়ে জরুরি হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। এজন্য আবার বাজারচলিত বিভিন্ন ঘামাচির পাউডার ব্যবহার করতে যাবেন না। এতে সাময়িক চুলকানি দূর হবে ঠিকই তবে পাউডার দিয়ে ঘামাচি নির্মূল হয় না।
আবার পাউডার ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্যই শরীরের ওই অংশ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। কারণ পাউডার ব্যবহারে ত্বকের লোমকূপের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধুয়ে না ফেললে ব্রণ ও ফুসকুড়ি আরও বাড়তে পারে।
ঘামাচি হলে কী করবেন?
>> ঘামাচির যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। পাউডার ব্যবহার করলে পরের দিন অবশ্যই ভালোভাবে সাবান বা লিকুইড সোপ ব্যবহার করে ধুয়ে নিন।
>> বাজারে ঘামাচি প্রতিকারের বিভিন্ন সাবান ও ক্যালামিনা লোশন পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
>> অবৈজ্ঞানিক উপায়ে চিকিৎসা নিলে সাধারণ সমস্যা থেকেই নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
>> সম্ভব হলে দিনে দুইবার স্নান করুন। আর স্নানে অবশ্যই কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন। ঘামাচি থাকলে বেশি ঘষবেন না। হালকা হাতে কোনো নরম লুফা ব্যবহার করে অল্প অল্প করে স্ক্রাব করুন।
>> স্নানের জলে কোনো অ্যান্টি-সেপটিক লোশন ব্যবহার করুন। তাছাড়া স্নানের জলে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতেও ত্বক ফ্রেশ থাকবে ও জীবাণু কম হবে।
>> গরমে হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। বেশি গাঢ় রং বা টাইট পোশাক পরবেন না। এতে ঘামাচির সমস্যা আরও বেড়ে যাবে।
>> গরম জলে এক কাপ ওটমিল ভিজিয়ে রাখুন। তা ঠান্ডা হলে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এই ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও ঘামাচি দূর করতে পারবেন।
>> বেকিং সোডা ব্যবহারে ঘামাচির চুলকানি কমাতে পারেন। এজন্য স্নানের জলে ৩-৫ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে প্রায় ২০ মিনিট রেখে ওই জল গায়ে ব্যবহার করুন।
>> প্রচুর পরিমাণে জল ও তরল খাবার খান এই গরমে।