একজন নারীকে একা হাতেই সংসারের সব খুঁটিনাটির খেয়াল রাখতে হয়। একসঙ্গে সামলাতে হয় সবকিছু। শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন থেকে শুরু করে স্বামীর প্রতি দায়িত্ব, পাশে থাকা— এসব তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে কড়া নজর রাখতে হয় সন্তানের পড়াশোনাতেও।
মোট কথা, পরিবারকে এক ছাতার তলায় রেখে সবাইকে সুখী করার দায়ভার অনেকটাই থাকে একজন নারীর। এর মধ্যেই রয়েছে কর্মক্ষেত্রে সময় মতো পৌঁছনোর তাড়না। সেখানেও কর্পোরেট মিটিং, না হলে সরকারি ফাইল। রয়েছে পদোন্নতির দৌড়। ঘরে-বাইরে সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত কই নারীর?
তবে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে সকালের এক কাপ চা-ই যথেষ্ট। ঘুমের রেশ কাটাতে কিংবা ক্লান্তিভাব কাটাতেই নয়, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে নানা প্রকার ভেষজ চা! জেনে নিন, শরীরের যত্ন নিতে কোন কোন চা রোজ খেতে পারেন-
ক্যামোমাইল চা
নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় মাথাব্যথা, পায়ে টান ধরা, মেজাজ বিগড়ানো স্বাভাবিক। ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগে থেকেই উপসর্গগুলো দেখা দিতে শুরু করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যামোমাইল চা এই উপসর্গগুলো কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া স্নায়ুগুলোকে শান্ত রাখা, শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, এমনকি প্রদাহ কমাতেও এই চায়ের জুড়ি মেলা ভার।
আদা চা
ডায়াবেটিস এবং হার্টের অসুখ থাকলেও আদা চা হতে পারে রোজের সঙ্গী। শরীরের লিপিড এবং কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই চা। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে রক্তচাপও কমে। পাশাপাশি, আদা চা খেলে যে কোনো ধরনের প্রদাহ কমে। তার সঙ্গে বাড়ে প্রতিরোধ ক্ষমতাও। পেটের অসুবিধা, গা গোলানোর মতো অস্বস্তিও কিছুক্ষণেই উধাও হতে পারে এই আদা চায়ের প্রভাবে। অন্তঃসত্ত্বাদের অনেক সময়ে সকালে উঠে বমি ভাব দেখা দেয়। তা ঘিরে ভোগান্তিও হয় মাসের পর মাস। এমন সময়ে কিন্তু সাহায্য করতে পারে সকাল সকাল এক পেয়ালা আদা দেওয়া চা।
পুদিনা চা
এই চা নারীদের জন্য ভালো, কারণ এতে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই চা প্রদাহ কমাতে দারুণ উপকারী। পেশিতে টান ধরলে এই চা খেলে উপকার পেতে পারেন। এই চায়ের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ এবং অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।