শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিলে ত্বকেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। তার উপরে ত্বকে যদি পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা না হয় তাহলে শুষ্কভাব, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া কিংবা লালচে ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এতে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।
শুধু শুষ্ক ত্বকেই নয় তৈলাক্ত ত্বকেও আর্দ্রতার অভাব হতে পারে। ডিহাইড্রেশন বা জলশূন্যতার কারণে ত্বকের কোষে আর্দ্রতার অভাব হয়। ফলে ত্বকে লিপিড ও সেবেসিয়াস গ্রন্থি সঠিকভাবে কাজ করে না।
পর্যাপ্ত জল ও তরলজাতীয় খাবার না খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আবার আবহাওয়ার কারণেও ত্বকে শুষ্কভাব দেখা দিতে পারে। তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তার ত্বক আর্দ্রতা হারিয়েছে। কয়েকটি লক্ষণ দেখে অবশ্য টের পেতে পারেন আপনার ত্বক আর্দ্রতা হারিয়েছে কি না-
>> চুলকানি ও খসখসে ত্বক
>> সংবেদনশীলতা, লালচে ভাব ও হাইপারপিগমেন্টেশন
>> দুটি আঙুল দিয়ে ত্বকে চিমটি কাটুন ও দেখুন ত্বকের রং ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে কি না। যদি স্থানটি ফ্যাকশে হয় আর ত্বকের রং স্বাভাবিক হতে সময় লাগে তাহলে বুঝবেন আপনি জলশূন্যতায় ভুগছেন।
>> বলিরেখা ও
>> নিস্তেজতা।
ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবেন যেভাবে
>> ত্বকের আর্দ্রতা কাটিয়ে উজ্জ্বলতা ও সতেজতা বাড়াতে জলের বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও হিউমেক্টেন্ট সমৃদ্ধ প্রসধনী ব্যবহার করুন।
>> চকলেট ভিত্তিক ফেসমাস্ক ত্বকের আর্দতা ফেরাতে কাজ করে। অতিরিক্ত মেলানিন কমিয়ে হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে সহায়তা করে।
>> ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুরো ত্বকে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। দিনে ২ কাপের বেশি কফি খাবেন না।
>> ত্বকে ঘষে ঘষে স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না। তার পরিবর্তে মৃদু এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার করুন। স্ক্রাবিং করলে এমনিতেই ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। এ কারণে সপ্তাহে একবারের বেশি ত্বক স্ক্রাব করা উচিত নয়।