দেশে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আইসিডিডিআরবি এতো ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে। এ সময় সবারই সতর্ক থাকতে হবে। তাই জেনে রাখা ভালো ডায়রিয়া হলে দ্রুত কী করণীয়-
>> এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার জলে গুলিয়ে খাবেন।
>> রোগীকে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার যেমন- ডাবের জল, চিড়ার জল, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়ানো প্রয়োজন।
>> রোগীকে কোমল পানীয়, ফলের জুস, আঙুর, বেদানা খাওয়ানো যাবেন না।
>> ১০ বছরের বেশি বয়সীরা ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খাবেন।
>> শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা করেছে আনুমানিক সে হিসেবে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
>> শিশু বমি করলে ধীরে ধীরে খাওয়ান যেমন-৩-৪ মিনিট পরপর এক চা চামচ করে খেতে দিন।
>> খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি ২ বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।
>> ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।
>> ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুকে দৈনিক একটি করে জিংক ট্যাবলেট জলে গুলিয়ে একটানা ১০ দিন খাওয়াতে হবে।
তারপরও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে বা বেশি খারাপ হলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল/স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।