অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় যে খুব অল্প আঘাতে কিংবা হালকা ঘষাতেও সহজে কালশিটে পড়েছে, কিন্তু আঘাতটি কালশিটে পড়ার মতো গুরুতর নয়। আবার কেউ কেউ শরীরে কোনো আঘাত ছাড়াই কালশিটে লক্ষ্য করে থাকেন। কিন্তু অল্প আঘাতে কালচে দাগ পড়ে যাচ্ছে, সেটা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। খুব ঘন ঘন যদি এই ধরনের সমস্যায় পড়েন, তা হলে কিন্তু ভাবার বিষয়। এটা হতেই পারে এটি বড় কোনো রোগের উপসর্গ।
>>> রক্ত ঠিক মতো জমাট না বাঁধলে কিংবা রক্ত জমাট বাঁধতে দেরি হলে এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়। হিমোফিলিয়া জাতীয় রোগের উপসর্গ হতে পারে কালশিটে পড়া।
>>> ঘন ঘন কালশিটে পড়া কিন্তু হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ। ব্লাড ক্যান্সার বা বোনম্যারো ক্যান্সার হলে শরীর জুড়ে কালশিটে পড়তে পারে।
>>> লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হলেও শরীরে কালশিটে পড়ে। লিভারের যে প্রোটিনটি রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে, সেই প্রোটিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এই অসুখ।
>>> ঘন ঘন কালশিটে পড়ার অর্থ ভিটামিনের অভাব হতে পারে। শরীরে ভিটামিন সি বা ভিটামিন কে-র অভাব ঘটলেও কালশিটে পড়তে পারে।
>>> কোনো বিশেষ ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও কালশিটে পড়তে পারে। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তাই এই ধরনের ওষুধ খেলে কালশিটে পড়ার আশঙ্কা থাকে।