হালকা নাস্তা হিসেবে বাদাম পছন্দ অনেকেরই। সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় বাদাম রাখতে পছন্দ করেন তারা। কখনোবা অফিসে কাজের ফাঁকে ছোটখাটো ক্ষুধা দূর করতেও থাকে বাদাম। তবে এটি কি সুস্বাস্থ্যের জন্য না-কি সুস্বাদু বলেই খেয়ে থাকেন? প্রতিদিন বাদাম খাওয়া কি আসলেই উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন বাদাম খেলে আসলে কী হয়-
বাদামে থাকে ক্যালোরি এবং ফ্যাট। সেইসঙ্গে এতে থাকে আরও নানা রকম পুষ্টি উপাদান। ফসফরাস, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, প্রোটিন থাকে এই শুকনো ফলে। একেক বাদামে একেক ধরনের উপাদান বেশি থাকে। যেগুলো শরীরের যত্নের জন্য উপকারী। কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, আখরোট, পেস্তা ইত্যাদির মধ্য থেকে যে কোনোটি রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে বাদামে। এটি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। সেইসঙ্গে মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতেও কাজ করে। এতে পর্যাপ্ত ক্যালোরি রয়েছে, তবে তা হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর নয়। বাদাম খেলে নেই ওজন বৃদ্ধির ভয়। বরং এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে তাই বাড়তি খেয়ে ফেলার ভয় থাকে না। তাই যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তারা দিনে কয়েকটি বাদাম রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য উপকারী একটি খাবার হলো বাদাম। এই ফলে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যাদের লো কার্ব ডায়েট প্রয়োজন, তারা বাদামের খাদ্যগুণে আস্থা রাখতে পারেন। এসব গুণের পাশাপাশি এটি আমাদের মানসিক চাপ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। আর এই দুই উপকারিতা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশ দরকারি। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকেন তবে নিয়মিত বাদাম খেতে পারেন।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তাই বাদম রাখতেই পারেন। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো বাদাম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশি বাদাম খেলে তা উপকারের বদলে ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রতিদিন সকালে কয়েকটি কাঠ বাদাম দিয়ে নাস্তা শুরু করতে পারেন। আবার দুপুরের খাবারের আগে বা সন্ধ্যার দিকে ক্ষুধা পেলে হালকা নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন বাদাম। এটি ডায়াবেটিস দূরে রাখবে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখবে, নিয়ন্ত্রণে রাখবে কোলেস্টেরল। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় বাদাম আপনি রাখতেই পারেন।