দাম্পত্য জীবনে কখন অশান্তি এসে ঢুকে পড়ে তা বলা মুশকিল। দু’জন মানুষ একই ঘরে মিলেমিশে থাকা কোনো সহজ কথা নয়। তাই বিয়ে পরবর্তী জীবনে যেমন ভালোবাসা থাকবে, তেমনই থাকবে ছোট-খাটো ঝগড়াঝাটিও। কিন্তু এমন যদি হয় যে মনোমালিন্য বাড়ছেই, একজন আরেকজনকে বুঝতেই পারছেন না তবে সতর্ক হওয়া জরুরি। একটি সম্পর্ক ভাঙার জন্য ছোট ছোট বিষয়গুলোই একটা সময় বড় হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি শুরুতেই সেগুলো থামিয়ে দেওয়া না হয়।
স্ত্রীর কিছু স্বভাব পুরুষের একেবারেই পছন্দ নয়। যদি সে ধরনের স্বভাব স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পান তখন মনে মনে অশান্তিতে ভুগতে থাকেন। পুরুষের সব পছন্দ-অপছন্দই যে যৌক্তিক, সেকথা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে সমস্যা কোথা থেকে হচ্ছে তা বুঝতে পারলে সমাধানের পথটা সহজ হয়। হয় স্বামীকে বুঝিয়ে নয়তো নিজেকে পরিবর্তন করে সংসারে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, স্ত্রীর কোন স্বভাবগুলো পুরুষের অপছন্দের কারণ হতে পারে-
নিজেকে নিয়ে অহংকার করা
স্ত্রী অনন্যা, একথা স্বামীর মুখ থেকে শুনতে যত সুন্দর লাগে ততটাই বিদঘুটে লাগে স্ত্রীর নিজের মুখে শুনলে। নিজেকে নিয়ে অহংকার করতে থাকলে একটা সময় তা আপনার স্বামীর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনার সামনে দাঁড়ানো মানুষটি তখন নিজেকে ছোট ভাবতে শুরু করতে পারেন। তাই নিজেকে নিয়ে অহংকার করা বন্ধ করতে হবে। নিজের ভালো দিক যদি তুলে ধরেন, অন্যের প্রশংসা করতেও পিছপা হবেন না। এতে সংসারে সুখ বজায় থাকবে।
অপরের নিন্দা করা
সামনে মিষ্টি করে কথা বলেও পেছনে নিন্দা করার অভ্যাস আছে অনেক নারীর। পুরুষেরা সাধারণত এ ধরনের অভ্যাস পছন্দ করেন না। স্ত্রী যদি অন্যদের নিন্দা করতে থাকেন তখন পুরুষ বিরক্ত হন। প্রথমে হয়তো নিষেধ করেন। কিন্তু এরপরও তা বন্ধ না হলে পরবর্তীতে সম্পর্কে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে।
স্বামীকে দোষারোপ করা
সব মানুষেরই দোষ-গুণ থাকে। কিন্তু অনেক নারী আছেন যারা সব সময় স্বামীর দোষগুলোই তুলে ধরেন। ছোট-খাটো যেকোনো বিষয়ে স্বামীকেই দোষারোপ করতে থাকেন। এটি করা বন্ধ করতে হবে। সঙ্গীর কাছ থেকে সারাক্ষণ নিজের দোষগুলো শুনতে নিশ্চয়ই কেউ পছন্দ করবেন না। যদি সম্ভব হয় তাকে পরিবর্তনের চেষ্টা করুন। এর বদলে সারাক্ষণ তাকে দোষারোপ করতে থাকলে সম্পর্ক খারাপই হবে।
স্বামীর পরিবারকে ছোট করা
স্বামীর পরিবারের সবকিছু আপনার মনের মতো হবে না। কারণ তারা ভিন্ন বাড়ির, ভিন্ন পরিবেশের মানুষ। তাদের কিছু কথা বা ব্যবহার আপনার খারাপ লাগতে পারে। সম্ভব হলে সামনাসামনি কথা বলে সেসব মিটমাট করে ফেলুন। কিন্তু আপনি তাদের অসাক্ষাতে নিন্দা-মন্দ করলে আপনার স্বামীর খারাপ লাগবে। কারণ কোনো মানুষই নিজের পরিবারকে ছোট দেখতে চায় না। তাই নিজেদের মধ্যে অশান্তি ডেকে আনতে না চাইলে এই কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
যখন-তখন বাবার বাড়িতে চলে যাওয়া
বিয়ের পরে স্বামী আর আপনি যে বাড়িটাতে থাকছেন, চেষ্টা করুন সেখানে বেশি সময় দেওয়ার। বাবার বাড়িতে অবশ্যই যাবেন। তবে আপনাকে প্রাধান্য বুঝতে হবে। যদি আপনাকে আপনার বাবার বাড়িতে সত্যিই খুব বেশি দরকার হয়, তাহলে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন। নিজের সংসার অগোছালো রেখে বাবার বাড়িতে গিয়ে পড়ে থাকলে সেটি স্বামীর অপছন্দের কারণ হতে পারে।