স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার ভালোবাসার সম্পর্কটা ধীরে ধীরে পানসে হয়ে আসাটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। নিত্যদিনের অভ্যস্ততায় চেনা মানুষটিকে তখন আর নতুন করে অনুভব করা হয় না। হৃদয়ের টানটা যেন শিথিল হয়ে আসে। যাপিত জীবনের নানা চাপ, দুশ্চিন্তা, ক্লান্তি তাতে রসদ জোগায় আরও। তবে এভাবে চলতে থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই একটা সময় মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
সব বাঁধা দূর করে সম্পর্কটি সুন্দর রাখতে সাহায্য নিতে পারেন আর্ট থেরাপির। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আর্ট বা শিল্পের মধ্যে একটা আশ্চর্য থেরাপিউটিক ক্ষমতা রয়েছে। রং-তুলি দিয়ে ইচ্ছেমতো টান, খাতার পাতায় ড্রয়িং করার মতো কাজগুলো করলে একদিকে যেমন মনের উপর থেকে চাপ কাটবে, তেমনি দু’জনে পরস্পরের কাছাকাছি আসতে পারবেন।
পেশাদার আর্ট থেরাপিস্টের উপস্থিতিতে আর্ট থেরাপি করালে তা আপনাদের সম্পর্কে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে, এমনকী ব্যক্তিগত আশাআকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেও সাহায্য করতে পারে। তবে সবসময় থেরাপিস্টের সাহায্য নিতেই হবে, তা নয়। নিজেদের মতো করেও আর্ট থেরাপি করতে পারেন আপনারা, তাতেই বাঁচবে সম্পর্কের বাঁধন।
যেভাবে কাজ করে আর্ট থেরাপি: ডেভিড জিমারমান নামে এক মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে এক দম্পতি আর্ট থেরাপি করিয়েছিলেন। সেই ওয়ার্কশপে একজন অপরজনকে বলে দিচ্ছিলেন কী আঁকতে হবে। শুনতে সহজ মনে হলেও আসলে ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়। কারণ আপনাকে নির্দিষ্ট করে বলে দিতে হবে আপনি স্বামীর কাছ থেকে ঠিক কী আঁকা চাইছেন। স্বামীর সঙ্গে আপনি কীভাবে কথা বলছেন সেটা যেমন মাথায় রাখতে হবে, তেমনি সঠিকভাবে ব্যাপারটা তাকে বোঝাতেও হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। তবে একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পরস্পরকে বোঝা এবং সেই অনুসারে কথা বলাটাও রপ্ত হয়ে যাবে আপনাদের।
বাড়িতেই করুন আর্ট থেরাপি: বিশেষজ্ঞের সাহায্য না নিয়ে একদম নিজেদের মতো করেও শুরু করতে পারেন আর্ট থেরাপি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে কয়েক ঘণ্টা ফাঁকা সময় হাতে রাখুন দুজনে। ক্যানভাসে বা ড্রয়িং খাতায় দুজন মিলে একটাই ছবি আঁকতে শুরু করুন। যে যার নিজের কল্পনা, রেখা, রং উপুড় করে দিন ছবিতে। একটা সময় রংতুলির রং ছড়িয়ে পড়তে শুরু করবে দুজনের হৃদয়েও।