থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারণত দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়– গঠনগত ও কার্যগত। গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার বলা হয়। কার্যগত সমস্যা দুই রকমের, যথা হাইপারথাইরয়ডিজম ও হাইপোথাইরয়ডিজম।
হাইপারথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে ও হাইপোথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করে না। হাইপোথাইরয়ডিজমের কারণে অবসাদগ্রস্ত, অলসতা, ঘুম ঘুম ভাব, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, পা অল্প ফুলে যায়, ক্ষুধামান্দ্য শুরু হয়, চুলপড়া শুরু করে, ওজন বেড়ে যায়, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, রক্তচাপসহ বিভিন্ন সমস্য দেখা দেয়।
হাইপারথাইরয়ডিজম সমস্যা হলে ক্ষুধা বেড়ে গেলেও ওজন কমতে থাকে, প্রচণ্ড গরম লাগে, বুক ধড়ফড় করে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়, ত্বক কালো হয়ে যায়, হার্টের সমস্যা হতে পারে, হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসে, বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা হলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হোন। প্রথমে ওষুধ সেবন করুন। ওষুধে সুস্থ না হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। সমস্যার শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, চিকিৎসা নিন, ভালো থাকুন।