বয়স বাড়লে তার ছাপ তো মুখে পড়বেই। কিন্তু বৃদ্ধ হতে কে-ই বা চায়! বয়স বাড়লেও মুখে যেন তার ছাপ না পড়ে সেজন্য নানা প্রচেষ্টা থাকে আমাদের। বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন অ্যান্টিএজিং ক্রিম আর লোশন, রয়েছে বিশেষ কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের সুবিধাও। যার মাধ্যমে বলিরেখা বা ত্বকের ঢিলেভাব অনেকটাই প্রতিহত করা যায়। কিন্তু সেসব ট্রিটমেন্টের অধিকাংশই বেশ খরচসাপেক্ষ, তাই এই পদ্ধতি মেনে চলা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে না দেয়ার আছে প্রাকৃতিক উপায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আপনার হাসি। এবার তাই সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে মন খুলে হাসুন। কারণ আপনার হাসিতেই লুকিয়ে রয়েছে আপনার চির তারুণ্য। শুধু হাসিমুখ আর মনের আনন্দ ধরে রাখতে পারলেই বয়সের নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে আপনার হাতে।
মুখ হলো আমাদের মনের আয়না। আমাদের মনের মধ্যে যা যা চলে, সবই ছায়া ফেলে মুখে। মনে দুঃখ বা উদ্বেগ থাকলে তা যেমন মুখ দেখে বোঝা যায়, তেমনি ভিতর থেকে উজ্জ্বল, হাসিখুশি থাকলে তারও প্রভাব পড়ে মুখে।
হাসির সময় আমাদের মুখের টিস্যু আর পেশিগুলো বেঁকেচুরে যায় যা অনেকটা ফেসিয়াল ব্যায়ামের মতো কাজ করে। মুখের টিস্যু আর পেশি এর ফলে টানটান, সতেজ থাকে যা মুখের ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখে। ফলে মুখে বলিরেখার প্রকোপ অনেক কম পড়ে।
তারুণ্য ধরে রাখতে অবচেতন মনেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময় আমরা অসচেতনভাবেই হাসির সঙ্গে তারুণ্যের একটা সংযোগসূত্র খুঁজে পাই। যারা বেশি হাসিখুশি তাদের দেখতেও কমবয়সী বলে মনে হয়। এই তথ্যটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত।
একই ব্যক্তির গম্ভীর মুখাবয়বের চেয়ে তার হাসিখুশি মুখ তরুণতর দেখায়। একটি গবেষণায় একদল মানুষকে বেছে নেওয়া হয় এবং তাদের একই ব্যক্তির একটি গম্ভীর ও একটি হাসিখুশি ছবি দেখানো হয়। সবক্ষেত্রেই তারা গম্ভীর ব্যক্তির বয়স বেশি বলে সনাক্ত করেন।
এবার থেকে তাই আর গম্ভীর থাকা নয়। যখনই মন খুলে হাসার কোনো উপলক্ষ পাবেন, হেসে নিন। বিনা খরচে বয়স ধরে রাখার এমন উপায় আর মিলবে না। তবে যখন তখন হেসে উঠবেন না যেন। তাহলে লোকে আপনাকে পাগল ভাবতে পারে!