শিশুদের স্কুলেও বুলিংয়ের ঘটনা ঘটে থাকে। বুলিং শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু অনেক সময় শিশুরা বুঝতেই পারে না তারা বুলিংয়ের শিকার। অনেক সময় বুলিংকে তারা নিছক মজা হিসেবে গ্রহণ করে। প্রথমেই সেটাকে বাঁধা না দেওয়ার দরুন তার মাত্রা বাড়তেই থাকে। কিন্তু সচেতন বাবা মা হিসেবে আপনার দায়িত্ব সন্তানকে বুলিং সম্পর্কে জানানো।
বুলিং কী, এটার সম্মুখীন হলে কীভাবে তার মোকাবিলা করতে হবে শিশুকে শেখান।
মজা, আনন্দ, পড়াশোনার পাশাপাশি এসব বিষয়েও সন্তানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করুন। তার থেকে জানতে চান সারাদিন কেমন গেল তার, স্কুলে কী কী হল। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন সন্তানের সঙ্গে যাতে সে সহজেই সব কিছু আপনার সঙ্গে সবটা ভাগ করে নিতে পারে। এবং কথার ছলেই তার সারাদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। যে যদি বুলিংয়ের শিকার হয় আপনি বুঝতে পারবেন।
কী করে সে এটার মোকাবিলা করবে তাকে বোঝান। দেখে নিন কোন উপায়ে বুলিংয়ের মোকাবিলা করতে হবে।
>> যখন আপনার সন্তান কোনো গল্প বলবে সেটা মন দিয়ে শুনুন। তাকে থামাবেন না। বোঝার চেষ্টা করুন।
>> সন্তান ভুল বলছে, মিথ্যে বলছে এমনটা কখনো মনে করবেন না। সবসময় জানবেন শিশুরা যতই দুষ্টুমি করুক, দু একবার মিথ্যা বললেও তারা সবসময় মিথ্যা বলে না। তাই তাদের কথা বিশ্বাস করুন। তাদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন।
>> প্রথমে শিশুরা সহজে এসব কথা বলতে পারে না। দ্বিধাবোধ করে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। এবং তাদের উৎসাহ দিন যাতে তারা মনের কথা বলতে পারে সহজেই।
>> নিজেদের উপর বিশ্বাস করতে শেখান। আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন। নিজেকে গুরুত্ব দিতে শেখান। তাকে এমন ভাবে বড়ই করে তুলুন যাতে কেউ সহজে তাকে অপমান করতে না পারে।
>> সন্তানের সঙ্গে যতটা পারবেন সময় কাটান। বন্ধু হিসেবে মিশুন। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখুন তার সঙ্গে।