শিশুর পায়ু পথে চুলকানি হলে করণীয় জেনে নিন

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুর পায়ু পথের চুলকানির কারণ হলো ‘পিন-ওয়ার্ম’ বা গুড়া কৃমির আক্রমণ। পায়ুপথে চুলকানির এই সমস্যাটি যেমন শিশুর জন্য বিরক্তিকর, তেমনি তার অবিভাবকদের জন্যও বিব্রতকর।

কোনো মা চান না তার ছোট পুতুলের মতো বাবুটি জনসমক্ষে সেই বিশেষ স্থানটি বারবার চুলকাক। অতএব বাবা মায়েরা স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে চাইবেন। আর সে ক্ষেত্রে নিচে দেয়া ব্যবস্থাগুলো অনেকাংশেই সাহায্যে আসবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শিশুর পায়ু পথের চুলকানি হলে যা করবেন সে সম্পর্কে-

জায়গাটি শুষ্ক রাখতে হবে
খেয়াল রাখবেন আপনার শিশুর নিম্নদেশ যেন ভিজা না থাকে। কেননা ভিজা স্থান ছত্রাক সংক্রমণের উপযুক্ত পরিবেশ। এ কারনে পায়ুপথে চুলকানি হলে দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বার শিশুর প্যান্টি বদলে দিতে হবে। ঘুমানোর মময় প্যান্টি বদলে দিতে হবে।

আক্রান্ত স্থানে পাউডার ব্যবহার করুন
শিশুর নিম্নদেশ শুষ্ক রাখার জন্য ‘কন-স্টার্চ’ পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমে হাতে পাউডার ভালো করে ঝাকিয়ে শিশুর নিতম্বে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে।

শিশুর পায়খানা রাস্তা ভালোভাবে পরিস্কার করুন
প্রতিবার শিশুর বাথরুম করার পর পায়ুপথ ভালো করে জল দিয়ে ধুতে হবে এবং এরপর একটি শুষ্ক নরম কাপড় অথবা টিস্যু-পেপার দিয়ে স্থান টি মুছে দিতে হবে। শিশুকেও এভাবে পরিস্কার-পরিছন্ন থাকতে শেখাতে হবে।

শিশুকে বেশি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ান
বেশি আঁশ যুক্ত খাবার যেমন: শাক-সবজি, ফলমূল,শস্যদানা ইত্যাদি শিশুকে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রেহাই দেবে যার ফলে শিশুর পাইলস/হেমরয়েড হওয়ার ঝুকিও বহুলাংশে কমে যাবে। কেননা কোষ্ঠকাঠিন্যের ফলে বাথরুম করার সময় যে বাড়তি চাপ প্রয়োগ করতে হয় তা পাইলস/হেমরয়েড হতে অথবা পূর্বে হওয়া হেমরয়েডকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।

আর যেহেতু হেমরয়েড থেকে রেহাই পেলে, শিশু পায়ুপথের চুলকানি থেকেও রেহাই পাবে। শিশুকে অধিক আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, অধিক পরিমাণ জলও পান করাতে হবে। অপর দিকে কম আঁশযুক্ত খাবার যেমন: চকোলেট, পটেটো-চিপস, কেক, কুকিস ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী বলে, এ খাবার গুলো শিশুকে অল্প পরিমাণে দিতে হবে।

শিশুর পায়ুপথে চুলকানি উপশমের আরেকটি উপায়
সহ্যকর উষ্ণ জলে ৩ থেকে ৪ চামচ সোডা গুলে একটি গামলা বা বাথটাবে নিয়ে তাতে শিশুকে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। পায়ুপথে চুলকানির কারণ যা-ই হোক না কেন, তা উপশমে এ পদ্ধতিটি যথেষ্ট ফলপ্রসূ।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy