অনেকের মধ্যেই ওটস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ দ্রব্য ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ওটস শরীরে পুষ্টি জোগান দেয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু গুরুতর রোগ দূরে রাখে। নিয়মিত ওটস খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১. ওটস খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস পায়, ফলে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস রোগের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি ওটসে থাকা অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
২. ওটসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। বিশেষত করে ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান নামক এক প্রকার ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য রক্ষায় বেশ উপযোগী। ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
৩.ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল বিকল্প হতে পারে ওটস। পাশাপাশি ওটসে থাকা ফাইবার বিপাক প্রক্রিয়ার গতিকে কমিয়ে দিতে পারে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি কমে।
৪. ওটসে স্নেহ পদার্থের পরিমাণ বেশ কম। ওটস খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে ক্ষুধা অনুভূত হয় না। যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য ওটস বেশ উপযোগী।
৫.বিশেষজ্ঞদের মতে, ওটসে থাকা ফাইবারে এমন কিছু উপাদান থাকে যা রক্তনালীর পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালীগুলি পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এতে স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পেতে পারে।