খাবার প্লেটে থাকা প্রয়োজন পুষ্টিকর সব উপাদান। তবে প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে পুষ্টির সঠিক সমন্বয় করতে না পারলে জ্বর, সর্দি-কাশির মতো বিভিন্ন রোগে ভুগতে হয়। কিন্তু রান্নাঘরের মধ্যেই রয়েছে এমন সব জিনিস যা দিয়ে এই ধরনের রোগ দূরে রাখা সম্ভব।
সুস্থ থাকতে রান্নাঘরের এই টোটকাগুলো জেনে নিন-
বেকিং সোডা
বেকিং সোডার ব্যবহার ছোটখাটো পোকামাকডের কামড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এর পরিমিত ব্যবহার আপনাকে চুলের খুশকির হাত থেকেও বাঁচাবে।
মধু
ঠাণ্ডায় খুসখুসে কাশির হাত থেকে আরাম পেতে সাহায্য করে মধু। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামে এমন একটি উপাদান রয়েছে, যা ত্বক, পেটের সমস্যা এবং আরও অনেক কিছুর জন্য ভালো। এমনকি আদা দিয়ে মধু খেলে ঠাণ্ডায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবু
লেবুর গুণাগুণ কম-বেশি আমাদের সকলেরই জানা। ত্বকের যত্ন থেকে শুরু করে হজমের জন্য লেবুর যেমন ইতিবাচক ব্যবহার আছে, তেমনি ত্বকের দাগ তুলতেও লেবু বহুল পরিচিত। পরিমিত পরিমাণে লেবুর রস খুশকির হাত থেকে আমাদের চুলকেও রক্ষা করবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার হজমকে ঠিক করার জন্য বা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য উপযোগী। এমনকি হৃদরোগ ভালো করার জন্যেও এর সুনাম আছে। উষ্ণ জলের সঙ্গে এক বা দু চামচ মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা দূরে থাকে।
হলুদ
হলুদে কারকুমিন নামে একটা সক্রিয় উপাদান রয়েছে, আমাদের শরীরের ওপর যার অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটোরি প্রভাব রয়েছে। আমাদের লিভারকে শান্ত করার ক্ষেত্রে হলুদ চা আপনার জন্য আদর্শ।
লবণ
লবণ শুষ্ক ত্বক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আমাদের শরীরের সংবেদনশীল এলাকা বাদ দিয়ে, ত্বক কেমন তার ওপর ভিত্তি করে এটি ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
শসা
ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি চোখের ফোলা কমায় শসা। এটি হজম সমস্যা মোকাবেলা করতেও সাহায্য করে।
আপেল
এই কথা সবাই জানে যে ‘দিনে একটি আপেল চিকিৎসককে দূরে রাখে।’ আপেল আমাদের পিএইচ লেভেলকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে এবং এর পেকটিন ফাইবার পেটের অ্যাসিডকে শোষণ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া হজমের সমস্যা থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে এই ফলটি।
নারকেল তেল
নারকেল তেল একটি গুরত্বপূর্ণ ময়েশ্চারাইজার। যা আমাদের কনুই, পা, বা ত্বকের জন্যে ভালো কাজ করে। এটি মেকআপ তোলার জন্যও সমানভাবে কার্যকরী
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের রস চুল পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রেও সমান ভূমিকা পালন করে এই পেঁয়াজ।