গরমে সর্দি ও গলা ব্যথার সমস্যায় এখন অনেকেই ভুগছেন। গ্রীষ্মকালীন সর্দি-কাশির উপসর্গগুলো হলো নাক দিয়ে জল পড়া, গলা ব্যথার পাশাপাশি পেটে সংক্রমণ, যা ঘরে বসেই অ্যান্টিবায়োটিক বা ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় করা যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক সর্দি ও গলা ব্যথা সারানোর ৭ ঘরোয়া উপায়-
>> সর্দিতে নাকের বন্ধভাব দূর করার সেরা প্রতিকার হলো স্টিম নেওয়া। এজন্য একটি ফেসিয়াল স্টিমার ব্যবহার করতে পারেন কিংবা গরম জলের পাত্র থেকে ভাপ নিতে পারেন। চাইলে গরম জলের মধ্যে ইউক্যালিপটাস বা চা গাছের তেল মিশিয়ে ভাপ নিলে আরও দ্রুত নাক খুলবে।
>> সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা সারানোর আরেকটি দাওয়াই হলো আদা চা। পেট খারাপ থেকে গলা ব্যথা এমনকি মাথাব্যথা পর্যন্ত নানা রোগের নিরাময় ঘটায় আদা। গলা ব্যথা সারাতে এক কাপ জল কয়েক টুকরো আদা ফুটিয়ে কিংবা আদা চা পান করুন।
এটি সুস্বাদু করতে আপনি কিছু দারুচিনি ও মধু যোগ করতে পারেন। আদার এই পানীয় গলা ব্যথা সারাতে ও বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। দিনে ২-৩ বার এই তরল পান করুন।
>> পেঁয়াজ ও মধুর মিশ্রণও গলা ব্যথা ও কাশির জন্য পেঁয়াজ একটি দুর্দান্ত প্রতিকার। এতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। যা বুকের কফ দূর করতে সহায়তা করে। মধু গলার খুসখুসে ভাব ও ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।
এজন্য পেঁয়াজের রসের সঙ্গে মধু বা বাদামি চিনি মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণ কাশির সেরা ঘরোয়া এক প্রতিকার। কাশি বন্ধ করতে পেঁয়াজ ও মধুর এই মিশ্রণ এক চা চামচ পান করুন।
>> সর্দি ও গলা ব্যথা সারানোর আরও একটি ঘরোয়া উপায় হলো রসুনের ব্যবহার। এক কোয়া রসুন বাটা, ১ চা চামচ মধু, ১টি লেবু ও সামান্য গরম জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই পানীয় পান করলেও মিলবে স্বস্তি।
>> সর্দি-কাশির উপসর্গ ও উপসর্গের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি খান। গবেষণা অনুসারে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করলে দ্রুত শ্বাসনালির সংক্রমণ থেকে স্বস্তি মেলে।
এজন্য আপনি জাম্বুরা, কমলা ও লেবু খেতে পারেন। অথবা মধু, লেবুর রস গরম জলে মিশিয়ে পান করতে পারেন। ভিটামিন সি বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনার ইমিউন সিস্টেমকে সাহায্য করবে।
>> ঠান্ডার জন্য মূলা একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার। ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ এই সবজিতে আছে অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য। কফ দূর করতেও দারুন কার্যকরী মূলা।
>> সর্দি-কাশি হলে পর্যাপ্ত তরল খাবার খান। নাক বন্ধভাব দূর করতে ও হাইড্রেটেড থাকতে মধুর সঙ্গে জল ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এর পাশাপাশি গরম গরম স্যুপ খেলেও স্বস্তি মিলবে।